শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২৪, ১২:১১ দুপুর
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গর্ভে সন্তান নিয়ে ফেন্সিংয়ে লড়লেন মিসরের নাদা হাফেজ

স্পোর্টস ডেস্ক : বিষ্ময়কর তো বটেই। কপালে চোখ ওঠার অবস্থাও। সাত মাসের গর্ভবতী হয়েও প্যারিস  অলিম্পিকে ফেন্সিংয়ের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন মিসরের নাদা হাফেজ। বিষয়টি তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

এমন ঝুঁকি নেওয়ার সাহস কিভাবে পেলেন নাদা হাফেজ। তার পেশা তাকে সাহস জুগিয়েছে। নাদা হাফেস পেশায় একজন চিকিৎসক। এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন নাদা হাফেজ। প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫–১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠেন নাদা। তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা–ইয়াং জিওনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি; হেরে যান ১৫–৭ পয়েন্টে।

প্যারিস অলিম্পিক থেকে বিদায় নেওয়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন নাদা। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার মুহূর্তে কেঁদেও ফেলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানান তাঁর আবেগে ভেসে যাওয়ার কারণ, ‘পোডিয়ামে (বিজয় মঞ্চে) আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি!’

উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে উঠে আসা এই ফেন্সার আরও লিখেছেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে (প্রতিপক্ষকে) দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’

অন্তঃসত্ত্বা হয়েও প্যারিস অলিম্পিকে মিসরকে প্রতিনিধিত্ব করার পেছনে স্বামী ইব্রাহিম ইহাব ও পরিবারেরও অবদান আছে বলে মনে করেন নাদা, ‘গর্ভাবস্থার এই রোলারকোস্টার যাত্রা বেশ কঠিন। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনো দিক থেকে কম তীব্রতর ছিল না। এটা আমার কাছে মূল্যবান। আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী (ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি এবং এত দূর আসতে পেরেছি।’

সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও প্যারিস অলিম্পিকের মঞ্চে নাদা দারুণ লড়াই করায় অনেকেই তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘তাঁর এই অর্জন সব নারীর জন্য অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা, বিশেষ করে যেসব নারী চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজ করছেন।’ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়