স্পোর্টস ডেস্ক: একদিকে সর্বাধিক ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। অন্যদিকে একবারের চ্যাম্পিয়ন কলাম্বিয়া। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে উরুগুয়ের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল কলাম্বিয়া। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে সেই উজ্জ্বলতা ধরে রাখলো কলাম্বিয়া। উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা। ২০০১ সালের পর এবারই প্রথম কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছালো দেশটি। একমাত্র গোলটি করেন জেফারসন লারমা। শিরোপা লড়াইয়ে কলাম্বিয়া এখন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে। আগের দিন আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
এ জয়ের মাঝ দিয়ে কলাম্বিয়ার অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকলো। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত তারা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর থেকে অপরাজিত তারা। অন্যদিকে এই হারের ফলে উরুগুয়ের সামনে কোপা জয়ের যে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা ছিল তা থমকে গেল। এখন এই সম্ভাবনা শুধু আর্জেন্টিনার সামনে টিকে থাকলো।
ম্যাচের প্রথম আক্রমণ চালায় ১৫ বারের কোপা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। দশম মিনেটে তৈরি করা এ আক্রমণ থেকে কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি তারা। তবে এ সময়ে পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বলের ওপর কলাম্বিয়া আধিপত্য ছিল। পরের মিনিটে কলাম্বিয়ার ডিয়াজ দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু করদোবার উদ্দেশে যে পাসটি তিনি দিয়েছিলেন তার গতি বেশি থাকায় তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি।
১৭ মিনিটে উরুগুয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। নুনেজের শট কয়েক ইঞ্চির জন্য বল বাইরে দিয়ে চলে যায়। ভাগ্যটা যেনো নুনেজের সঙ্গে ছিল না। আবারো তার জোরালো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
একের পর এক আক্রমণ সামাল দেওয়ার পর কলাম্বিয়াও গোলের সুযোগ পায়। ৩৪ মিনিটে রদ্রিগুয়েজের ক্রসে হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন করদোবা। কিন্তু তার চেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি। তার হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়। অবশেষে ৩৯ মিনিটে গোল উৎসব করে কলাম্বিয়া। হামেস রদ্রিগুজের করা কর্নার কিক থেকে মাথা ছুয়ে বল উরুগুয়ের জালে ফেলে জেফারসন লারমা। এ নিয়ে এবারের টুর্নামেন্টে ছয়টি গোলের রূপকার হলেন রদ্রিগুয়েজ। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক আসরে সর্বাধিক গোলের রূপকার হলেন তিনি। টপকে গেলেন মেসিকে। ২০২১ সালের আসরে মেসি এক আসরে পাঁচ গোলের রূপকার ছিলেন।
এগিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর বড় ধাক্কা হজম করতে হয় কলাম্বিয়াকে। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে মুনোজ লাল কার্ড পান। ফলে ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি।
৮৮ মিনিটে কলাম্বিয়া ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ হারায়। উরুগুয়ের গোলের সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন উরাইব। কিন্তু তার শট বাইরে চলে যায়। শেষ সময়ে কলাম্বিয়া আরো একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু রদ্রিগুয়েজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তবে এতে কলাম্বিয়ার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধের গোলে ভর করে তারা পৌঁছে যায় ফাইনালে।
আপনার মতামত লিখুন :