স্পোর্টস ডেস্ক: কোপা আমেরিকায় প্রথম সেমিফাইনালে কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে তারা ২-০ গোলে জয় পায়। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো কোপা আমেরিকায় সর্বাধিকবারে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেজ ও লিওনেল মেসি করেন গোল দুটো। এ ম্যাচে গোলের মাঝ দিয়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবারের কোপা আমেরিকায় প্রথম গোলের দেখা পেলেন।
এবারের কোপা আমেরিকায় এটা ছিল কানাডা-আর্জেন্টিনার দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা। উভয়ে একই গ্রুপে ছিল। গ্রুপ পর্বেও একই ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা গত আসরে স্বাগতিক ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল। শিরোপা ধরে রাখার জন্য তাদের আর মাত্র একটা জয় দরকার। শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে এখনো আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। বৃহষ্পতিবার ভোরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে তারা শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে। এ ম্যাচে উরুগুয়ে ও কলাম্বিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
ম্যাচে পরিস্কার ফেভারিট ছিল আর্জেন্টিনা। ফেভারিটের মতই তারা শুরু করেছিল। তবে শেষ সময়ে কানাডা বেশ কিছু সফল আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি।
এ ম্যাচে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি প্রথমবারের মতো এবারের কোপায় গোলের দেখা পেয়েছেন। গোলটি পেতে পারতেন এঞ্জো। তার শট কানাডা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সুযোগ পেয়ে যান মেসি। এমন সুযোগ নষ্ট করেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বলে পা ছুঁয়ে দিয়ে গোলটি নিজের নামে নিয়ে নেন। তবে তার গোল নিয়ে কানাডার খেলোয়াড়দের আপত্তি ছিল। ফলে রেফারিকে ভিএআর এর সহায়তা নিতে হয়। ভিএআর দেখে রেফারি গোলের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
এ গোলের মাঝ দিয়ে মেসি একটা কীর্তি এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন। এতদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি ইরানের আলী দায়ির সঙ্গে ভাগভাগি করতে হচ্ছিল। ১০৯তম গোল করে এখন মেসি দ্বিতীয় স্থানের একক মালিকানা নিয়েছেন। আলী দায়ি চলে গেছেন তৃতীয় স্থানে। তার গোলের সংখ্যা ১০৮। ১৩০ গোল নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
এর আগে হুলিয়ান আলভারেজ দলকে গিয়ে নেন। আগের ম্যাচে দলে ছিলেন না তিনি। লাউতারো মার্টিনেজকে বাইরে রেখে এবার তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ স্ক্যালোনি। তার আস্থার জবাব ভালোভাবে দিয়েছেন। ডি পলের লম্বা পাস ধরে দারুণ দক্ষতায় কানাডার গোলরক্ষককে পরাভূত করে দলকে এগিয়ে নেন।
শেষ দিকে কানাডা বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। কিন্তু সুযোগগুলো তারা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। তাছাড়া গোলরক্ষক ইমানুয়েল মার্টিনেজও ছিলেন তৎপর। তাকে ফাঁকি দিয়ে কানাডা আর্জেন্টিনার জালে বল ফেলতে পারেনি।
আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :