নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন পল্টনে জীবনের দীর্ঘ সময় কেটেছে গ্রান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের। নিজের সেই প্রিয় স্থানে আর যাবেন না তিনি। শেষবার শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এসেছিলেন নিথর দেহে। পুরনো জাতীয় ক্রিড়া পরিষদের নিচতলায় হলো তার জানাযা। সব খেলা মিলিয়ে দেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই।
৫০ বছর বয়সী এই দাবাড়ুর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), দাবা ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুরে তাজমহল রোডে। বাবার কবরের পাশে হচ্ছে তার শেষ ঠিকানা।
জিয়ার চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের দাবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। জানাজায় এসে তিনি বলেন, অনেকেই টুর্নামেন্টের পুরস্কার ও নানা সুযোগ-সুবিধা কম হলে খেলতে চাইতেন না। জিয়া কখনোই এ রকম ছিলেন না। সব টুর্নামেন্টেই তিনি অংশগ্রহণ করতেন। যেন অন্যরা তার মাধ্যমে শিখতে পারে।
৪৮তম জাতীয় দাবার ১২তম রাউন্ডে শুক্রবার গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিয়াউর রহমান। ২৫ চালের পর ম্যাচটা থেকে যায় অসমাপ্ত। নিয়ম অনুযায়ী অসমাপ্ত ম্যাচ আবার শুরু করতে হয়। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুতে ওই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে যাবেন রাজীব।
জিয়ার মৃত্যুতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রাজিব। জানাজায় এসে তিনি বলেন, আমার সামনেই জিয়া ভাইয়ের এমন মৃত্যু জীবনে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটা না হলেই ভালো হতো।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :