স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ হারার আগেই একবার হেরে বসে। তারপরও যদি একটু লড়াই করতে পারতো। লড়াইটা হবেই বা কিভাবে? একের পর এক ক্যাচ মিস, ব্যাটিংয়েও ব্যর্থতা। চট্টগ্রাম টেস্টেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। খেলা পঞ্চম দিনে গড়ালেও চালকের আসনে ছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ দিনের খেলাটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৯২ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৮ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। সিলেট টেস্টে তারা হেরেছিল ৩২৮ রানে।
দিনের পঞ্চম ওভারেই মেন্ডিসের বলে থামে তাইজুল ইসলামের ইনিংস। ২৮ বল খেলে ১৪ রানে নিশান মাদুশকার কাছে তালুবন্দি হন তিনি। তাতে ভাঙে তাইজুল-মিরাজের ৩৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটি। এরপর মিরাজ-হাসান জুটির সৌজন্যে এই সিরিজে প্রথমবার বাংলাদেশ ৩০০ রান করে। টেস্টে এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ পেরোল বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৪১৩, ২০০৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই করেছিল।
৮৩তম ওভারে হাসান লাহিরু কুমারার বাউন্সারের শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তোলেন। তিনি ৬ রানে আউট হলে মিরাজের সঙ্গে ৬৫ বলে ৩১ রানের জুটি ভাঙে। শেষ ব্যাটসম্যান খালেদকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি কুমারা। ৮৫তম ওভারে ৮ বলে ২ রান করা খালেদকে ইয়র্কারে বোল্ড করেন এই ফাস্ট বোলার। তাতে ৩১৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ ১১০ বল খেলে ১৪ টি চারে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন লাহিরু কুমারা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের ২০তম হার এটি। একমাত্র জয়টি ছিল ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে। ড্র হয়েছে বাকি ৫ টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পাশাপাশি শেষ ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কামিন্দু মেন্ডিস। আগের টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা এই ক্রিকেটার পেয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজের পুরস্কারও।
এই সফরে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ জিততে পেরেছে ওয়ানডে সিরিজ।
এফএ/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :