শাহানুজ্জামান টিটু: [২] ২৮ নভেম্বর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র্র করে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। হামলা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীরা অধিকাংশ ঘর ছাড়া এলাকা ছাড়া। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরকে আন্দোলনে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধে পিকেটিং করতে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছেন। সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় নেতাবিহীন অবস্থায় যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনগুলো বিছিন্ন ভাবে পিকেটিং করতে দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে। গুরুত্বরপূর্ণ নেতাদের অনুপস্থিতিতে আন্দোলনে তার গতি হারাতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিগত দিনের মতো এবারও ঢাকা নেতাদের ব্যর্থতার কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে।
[৩] এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে দলটির হাইকমান্ড গা ঢাকা দেওয়া নেতাদের বের হয়ে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
[৪] বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড দল নয়। তাই আড়ালে থেকে আন্দোলন নয়। আমরা গণগ্রেফতার হতে রাজপথে অচিরেই নেমে আসবো।
[৫] বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ববনে জঙ্গলে আমাদের নেতাকর্মীদের রাত কাটাতে হচ্ছে। হাজার হাজার শত শত মামলা কাধে নিয়ে যারা কোর্ট হাজিরা দিচ্ছে তারা আরো শক্তিশালী ও উজ্জিবিত হয়েছে। আমাদের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিজয় খুব সন্নিকটে।
[৬] বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ২৮ তারিখে ঘটনায় নেতাকর্মীরা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলো। আস্তে আস্তে দল আবারও গুছিয়ে গেছে সারাদেশে। আন্দোলন আরো তীব্র হবে। এবং নেতাকর্মীরা দৃশ্যমান হবে।
[৭] জানা গেছে, এই আন্দোলনে যাদেরকে প্রকাশ্যে দেখা যাবে না বা আন্দোলনে যাদের নিস্ক্রিয়তা দলের কাছে প্রতিয়মান হবে এসব নেতাদের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নেবে বিএনপির হাইকমাণ্ড। সেক্ষেত্রে যে কোনো নির্বাচনে দলের মনোনয়নের বিষয়টি পূর্ণ মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এসটি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :