শিরোনাম
◈ আ.লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মিসবাহকে কুপিয়ে জখম, মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি ◈ শেষ হচ্ছে ২০২৪ঃ রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর অনিশ্চিত পথে বাংলাদেশ ◈ আশা করি, খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে : মির্জা ফখরুল  ◈ রাষ্ট্র গড়ার যে দ্বিতীয় সুযোগ আমরা পেয়েছি, কোনোভাবেই নষ্ট না করি: আসিফ নজরুল ◈ স্বপনের স্বপ্ন, আবার ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হলে রাগবী খেলাকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাবেন ◈ ইলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের ধনী পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালটন ◈ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে জটিলতার অবসান, ভারত ও পাকিস্তান চুক্তিতে পৌঁছেছে ◈ রমনায় র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি: সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার ◈ ২০৩২ সালে ব্রিসবেন অলিম্পিকেও ক্রিকেট থাকবে!

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:০২ দুপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকার ১৮কোটি মানুষকে কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না: ১২ দলীয় জোট

শাহানুজ্জামান টিটু: [২] ১২ দলীয় জোটের সমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অবরোধ সফল করে একদফার আন্দোলনকে সচল রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ মন্তব্য করেছেন। সোমবার সকালে বিএনপি ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির ১২ দলীয় জোটের এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

[৩] নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে হারিকেন দিয়ে খুঁজে খুঁজে  বিএনপির নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের ঘাতক হাসিনা সরকার বিরোধীদলের উপর বেপরোয়া দমন পীড়ন চালিয়ে নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে। নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। বিরোধী দলের উপর নিষ্ঠুর আচরণ বুমেরাং হয়ে তাদের জীবনেই ফিরে আসবে।

[৪] ১৯৭৪ সাথে আওয়ামী সরকার বিরোধী দলের উপর নিপীড়ন মূলক ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন’ প্রণয়ন করেছিল। ইতিহাস সাক্ষী ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা হারানোর পরে ২১ বছর পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে থাকাকালে নিজেদের প্রণীত বিশেষ ক্ষমতা আইনে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও হয়রানির শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ। 

[৫] স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার ১৮কোটি মানুষকে কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। জনগণই ভোটারবিহীন পাতানো ভোটের আয়োজন পন্ড করে দেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় সকল নেতাকে গ্রেফতার করে আন্দোলনের দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকারের বিএনপি দমন ও বাড়াবাড়ি দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। নেতা বিহীন আন্দোলন বিনা পিকেটিং ও নেতৃত্ব ছাড়াই দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। 

[৬] হাসিনা সরকার বিরোধী দলকে কারাগারে ভরে ফাঁকা মাঠে  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রলাপ বকছে! কতটা মাথা নষ্ট হলে দুনিয়ার সবাইকে বেকুব ভেবে এমন কর্মকান্ড করতে পারার কথা তারা ভাবতে পারে!

[৭] বক্তারা সরকারকে ইতিহাসের নির্মম শিক্ষা থেকে পাঠ নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, শেখ মুজিব একদলীয় বাকশাল করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনের চিন্তা ও চেষ্টা করতে গিয়ে নিশ্চিত ব্যর্থ হবেন। গায়ের জোরে আর রাষ্ট্র ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণকে খুববেশি সময় দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গোপসাগরে ভেসে যেতে হবে। 

[৮] বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)এর সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান,  ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি( জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম,  শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক  মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ,  ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ। সম্পাদনা: ইকবাল খান

এসটি/আইকে/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়