আমিনুল ইসলাম: নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকের সংগঠন সাদা দল।
সোমবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান। ওই সময় দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি, হামলা-মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দমনপীড়নের প্রতিবাদ জানান তারা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির বিবেক। বাংলাদেশ বা জাতি যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আজ বাংলাদেশ এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা একটি দাবিকে কেন্দ্র করে এখানে সমবেত হয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র। যখনই জাতি কোনো ক্রান্তিলগ্নে পড়ে তখনই শিক্ষকরা জাতিকে নানাভাবে দিক নির্দেশনা দেন। তারই বহিঃপ্রকাশ আজকের আমাদের এই মানববন্ধন।
লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের এই কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের যে দাবি সে দাবির কিছুটা প্রমাণও তারা দিয়েছে। আমি তাদের এ কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশের মানুষ আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানাই।
‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিগত কয়েকটি নির্বাচনকালীন সময়ে তাদের আচার-আচরণ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সঠিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, কখনো সম্ভব নয়। এটি দেশের সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে বিধায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী পর্যন্ত সব মানুষের এখন একটি দাবি—ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার একটি পন্থা সঠিক নির্বাচন।
সরকার দুষকর্মশীলদের চিহ্নিত করার কোনো চেষ্টাই করছে না অথবা ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ এখানে যে সিন্ডিকেট কাজ করে সেই সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এই অব্যবস্থাপনার কারণে মার্কেট সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আমরা দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এআই/এসএইচবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :