রিয়াদ হাসান: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার যারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাদের বেআইনি আদেশ পালন করতে গিয়ে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। র্যাবকে স্যাংশন দেওয়ার পরেও যখন ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, তখন তারা আবার প্রশ্রয় পেয়েছে। একটার পর একটা তারা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে চলেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস্ ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ইফতার মাহফিলটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মহিলা, যিনি চাকরি করে তার ছেলেকে মানুষ করছেন, তাকে নির্মমভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে, নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন তারা এটাকে অস্বীকার করছে। র্যাবের ওপর যে স্যাংশন দেওয়া হয়েছিল তাতে আমরা কেউ আনন্দিত হইনি বরং লজ্জিত হয়েছিলাম। স্যাংশন দিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু একটা হত্যা নয়। আমরা যখন মানুষের ভোটাধিকার আন্দোলন শুরু করেছি, তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ৬০০ অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।
এছাড়া হাজারো নেতা-কর্মীকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে। গত ১ যুগের ওপরে দেশের মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ও গুমের মাধ্যমে দমন করে রেখে এক দলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি দানবীয় দুঃশাসন আমাদের ওপর চেপে বসেছে। অবিলম্বে তাদের সরাতে হবে। সেজন্য দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান জানিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :