রিয়াদ হাসান: গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি তাদের কোন সম্মান নেই। যদি থাকতো তবে শহীদের তালিকা তৈরি করতো।
রোববার (২৬মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে এসব কথা বলেন তিনি। মানবজমিন
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একক নেতৃত্বের কথা বলে, অন্যদের ত্যাগ স্বীকার করে না। এখনো পর্যন্ত ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ হলো শহীদের তালিকা তৈরি করতে না পারা।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটচুরির সংবাদ আজ বিশ্ব গণমাধ্যমে পর্যন্ত আসে। যা আমাদের মাথা নত করে দেয়।
রাশেদ খান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তারা আরেকটি পাতানো নির্বাচনের পায়তারা করছে। আমরা এইবার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দিবোনা। সংগ্রামের মাধ্যমে অতীতে আইয়ূব, ইয়াহিয়া, এরশাদ, ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনের পতন হয়েছে। এই সরকারকেও গণবিপ্লব করে বিদায় জানাতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে খাতা কলমে স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পাইনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। যার ছিটেফোঁটাও আজকের এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো।
যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, নিরবে ভোট ও ভাতের অধিকার বিলিয়ে দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকলে বন্দী এই জাতি। গণ অধিকার পরিষদ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকল ভেঙে এই জাতিকে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ ফিরিয়ে দিবে-স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
আরএইচ/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :