শিরোনাম
◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২২, ০৩:০২ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০২২, ০৩:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পিছনে জাতীয় পার্টির অবদান রয়েছে

শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগ এক এবং অভিন্ন এর মধ্যে খুব একটা প্রার্থক্য দেখি না। তিনি বলেন চৌদ্দ দলের যে নিজস্ব বৈশিষ্ঠ্য আছে তা জনগণের কাছে সু-স্পষ্ঠ নয়। জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পিছনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা এবং অবদান ছিলো। আওয়ামী লীগ স্বিকার করুক আর না করুক জনগণ জানে এবং স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি থেকে ছুটে গিয়েছে বা জাতীয় পার্টিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের মুল্যায়ন করে নাই। ফলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছিলো ২০০১ সালে।

[৩] বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসে এবং নির্বাচনী বৈতরনী পার করেছে। ২০০৮ এর পর থেকে জাতীয় পার্টি সঙ্গে আওয়ামী লীগের মধুর সর্ম্পক নেই এবং বর্তমানেও নেই। তিনি বলেন, ২০১৮ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিএনপি’র বিরুদ্ধে নির্বাচন করে ছিলো। তখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট ছিলো না জাতিয় পার্টির, তবে নির্বাচনী আতাত ছিলো। বিএনপি’র পরাজয় হওয়ার পরে জাতীয় সংসদে বিরোধী জোট হওয়ার মতো সংসদ সদস্য বিএনপির ছিলো না, আমি হিসাব করে বলছি। তাদের সদস্য সংখ্যা এতো কম ছিলো সংসদে বিরোধীদল হওয়ার মতো অবস্থান ছিলো না।

[৪]তিনি বলেন, তৎকালীন অবস্থার প্রেক্ষিতে জনগণের পার্লামেন্টে কাজ করতে একটি বিরোধীদলের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টি দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে এবং জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলে আছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, চৌদ্দ দলে এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে  জাতীয় পার্টি নেই এটা পরিস্কার। আমরা জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় ভূমিকা পালন করছি।

[৫]প্রতিটি বীলে-জাতীয় ইস্যুতে, সরকারের দোষত্রুটি, সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনসহ বাইরেও তুলে ধরছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিছুদিন আতাত করে রাজনীতি ও নির্বাচন করেছি। ফলে আমরা যখন বিরোধী দল হিসাবে কথা বলি, তখন অনেকে গ্রহণ করতে সংশয়বোধ করেন। এর আরেকটি কারণ এলাকার উন্নয়ণে সংসদ সদস্যরা সরকারের সঙ্ঘে কথা বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই এই নিয়ম আছে। কিন্ত ভোট দিতে পারেনা। অনেক সময় সরকার ও সরকারের প্রশাসনের বেশী প্রশাংসামূলক বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য তাদের হাতে নিয়ে উন্নয়ণমূলক কাজ করা। যা জাতীয় পার্টির দলীয় বক্তব্য নয়।

[৬]তিনি বলেন, বাংলাদেদশে ডেমোক্রেসি যে সংসদ তা মোটেই নেই। এটা তথাকথিত সংসদীয় গণতন্ত্র । জাতীয় সংসদে যে কোন জিনিষ যাক আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগের প্রধান প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন,সংসদের সিদ্ধান্ত সেভাবেই হবে। কাজেই সেখানে আমরা ভোট দেই বা না দেই, ইয়েস বলি আর নো বলি খুব একটা মর্মার্থ সত্যিকার অর্থে হয় না। কাগজে কলমে হয়। সেই হিসাবে আমরা না ভোট দিয়ে যাই,গ্রাজ্য হওয়ার কোন উপায় নাই। শুধু জাতীয় পার্টি সময় নয়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিপরীতে যে সরকার ছিলো তখন বিরাধীদলে থাকা আওয়ামী লীগ বিরোধী দল যারা ছিলেন, সংসদ বর্জন করতো। সংসদ থেকে ওয়াক আউট  করা প্রতিবাদ করা এটা সংসদীয় ভাষা। ফাইল ছুড়ে দিতে হবে অহেতুক গালাগালি করা মনে করি অর্থহীন। সামনের নির্বাচনে আমরা কোথায় কার সঙ্গে যাবো বলার সময় আসেনি। জনগণের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিবো এবং জাতিকে আমাদের দলীয় অবস্থা পরিস্কার করবো নির্বাচনকে সামনে রেখে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়