মো. শাখাওয়াত হোসেন : নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগের দাবি শুধু বিএনপির নয়, এই দাবি দেশের জনগণের। যেভাবে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছে একইভাবে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। প্রয়োজনে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে। এজন্য খুব শিগগিরই যুগপৎ আন্দোলন আসবে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাই। গণআন্দোলন সৃষ্টির মাধ্যমেই সরকার পদত্যাগ করবে। বিএনপির চলমান আন্দোলনে জনসম্পৃক্তা বেড়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক কর্মসূচী দিচ্ছি। কেউ আন্দোলনে হামলা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোন সমাবেশ বাতিল করিনি। আমাদের আন্দোলন দেখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পিছু হটেছে। এটা জনগণের বিজয়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দলের নেতাকর্মীদের নিহতের প্রতিবাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ৮ অক্টোবর থেকে ১০ সাংগাঠনিক বিভাগে গণ-সমাবেশ ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহা সমাবেশ করবে বিএনপি।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করেছে ছাত্রলীগ। তিনি এঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবি জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার নেত্রকোনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাদেরও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির চলমান কর্মসূচীতে ৫জনকে হত্যা ও ২৭৬৮ জনের বেশি আহত হওয়ার তথ্য জানান মির্জা ফখরুল। এছাড়া, ২৯৪ জন কর্মী গ্রেফতার, ৭৫টি মিথ্যা মামলায় এজাহার ভূক্ত ৫৪৭০জন ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময়, ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ জানানো হয়। সভায় সকল হত্যা ও নির্যাতনের সকল দায় স্বীকার করে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। এছাড়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীকে মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবিতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :