শিরোনাম
◈ সাত দশকে ট্রাম্প সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ◈ রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার বেপরোয়া চলাচলে অতিষ্ঠ নগরবাসী, শৃঙ্খলা ফেরানো দরকার  ◈ প্রত্যেক ভারতীয়র রক্ত টগবগ করছে: মোদি ◈ রোমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভ্যাটিকানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ ◈ বিএনপি কর্মী হত্যা: শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি অভিনেতা ইরেশ যাকের ◈ তেজগাঁওয়ে বোবা রফিককে কুপিয়ে হত্যার মূল হত্যাকারী সাদ্দামকে গ্রেফতার  ◈ ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও সাত সদস্য গ্রেফতার ◈ দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু ◈ বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন টাইগার‌দের প্রধান কোচ ◈ কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘এখন পর্যন্ত যে দলটা ক্ষমতায় গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংস্কার করেছে সেটি হচ্ছে বিএনপি’; ড. আসিফ নজরুল

নয়া দিগন্ত; আইন, বিচার, সংসদ ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ড. ইউনূস ছাড়া আর কেউ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলে সরকার এতদিন টিকে থাকতে পারত না। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ৮০ ভাগ সংস্কার প্রসঙ্গে রাজি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বক্তব্য আদালত থেকে এলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার মে’র শেষ বা জুনের শুরুতে আরম্ভ হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচনের অগ্রগতি, গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াসহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আইন, সংসদ ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন ইকবাল মজুমদার তৌহিদ। সাক্ষাৎকারটির বিস্তারিত আমাদর সময় ডটকমের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো :

নয়া দিগন্ত : অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার হওয়া উচিত বলে মনে করে অনেকে। এখানে আপনার মতামত কী?

ড. আসিফ নজরুল : বাস্তবতা আর প্রত্যাশার বিষয় ভিন্ন। তখন এত দ্রুত সরকার গঠন করতে হয়েছে যে, এসব চিন্তা-ভাবনা করার অবকাশ ছিল না। তা ছাড়া জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, বিপ্লব নয়। এটা হয়তো একসময়ে বিপ্লবে রূপান্তর হতো, যদি শেখ হাসিনা এত দ্রুত পালিয়ে না যেত। এর আগে কেয়ার টেকার সরকার অনেক সময় নিয়ে, চিন্তাভাবনা করে গঠন করা হয়েছে কিন্তু এবার ২৪ ঘণ্টা বা তার কম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সব কিছু চিন্তা করতে দুই দিন সময় পাওয়া গেছে। সব মিলেই এর থেকে ভালো কিছু বা ভিন্ন কিছু করা যেত বলে আমার মনে হয় না। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে সরকার প্রধান পেয়েছি তার থেকে বেটার আর কিছু হতে পারে না। যেসব ছাত্ররা সরকার গঠনের সাথে জড়িত তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে তারা ড. ইউনূসকে রাজি করাতে পেরেছিল। ড. ইউনুস না হয়ে যদি অন্য কেউ অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান হতো তাহলে আমার মনে হয় না এই সরকার এতদিন টিকে থাকতে পারত।

নয়া দিগন্ত : সরকার সংস্কারের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। অন্য দিকে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন চাইছে। এমন অবস্থায় সরকারের মূল ফোকাস কি হওয়া উচিত বলে মনে করেন।

ড. আসিফ নজরুল : এই দুইটার মধ্যে আমি কোনো বিরোধ দেখি না। একটা সময় সবাই বুঝতে পারবে যে সংস্কার ও নির্বাচন দুইটাই দুইটাকে হেল্প করে। আমরা যদি কিছু মৌলিক সংস্কার করে যেতে পারি তাহলে নির্বাচনটা আরো অর্থবহ হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করা হয় যে তারা সংস্কার চায় না। কিন্তু আমি এটা মনে করি না। এখন পর্যন্ত যে দলটা ক্ষমতায় গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংস্কার করেছে সেই দলটি হচ্ছে বিএনপি। ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে ৮০ শতাংশ সংস্কার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিএনপি। তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে এখনো তারা রাজি হয়নি। সমাজে একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে আবার বাস্তবতাও রয়েছে। আমরা সবাই প্রত্যাশা করি প্রধানমন্ত্রী দুই বারের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু এমন উদাহরণ খুবই কম দেশে রয়েছে। বড় বড় যে সব দেশ থেকে আমরা শাসনতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা ধার করি, সেসব দেশে কিন্তু সরকার প্রধান দুই বারের বেশি হতে পারবে না-এমন আইন নাই। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। আমেরিকা বাদ দিলে আর কোথাও কিন্তু এমন আইন নাই। তাই একতরফা বিএনপিকে দোষ দেয়া ঠিক না। আবার একতরফাভাবে কেউ যদি বলে কোনো সংস্কার দরকার নাই সেটাও আমরা গ্রহণ করব না।

নয়া দিগন্ত : ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে বলে আপনি মতামত দিয়েছিলেন। এখনো কি সেটা মনে করেন?

ড. আসিফ নজরুল : অনেক আগে বলেছিলাম ২০২৫ সালের মধ্যেও নির্বাচন সম্ভব। সম্ভব বলেছিলাম, সেটা অত্যন্ত প্রাথমিক ধারণা ছিল। প্রাথমিক ধারণা করে তখন বলাটাও ঠিক হয়নি। এখন যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে এটাই যৌক্তিক। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২০২৫-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে। ডিসেম্বরের আগে না, আবার জুনের পরে না। এর কারণ হচ্ছে গণহত্যাকারীদের বিচারের আকাঙ্খা আছে আমাদের। আমাদের কিছু মৌলিক সংস্কার করার ইচ্ছা আছে। সরকারের কিছু উন্নয়ন ও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, এগুলো তো কিছুটা হলেও এগিয়ে নিতে হবে।

ড. ইউনূস যখন প্রথম উপদেষ্টা হন, আমরা যখন বলতাম ‘স্যার দ্রুত নির্বাচন করে ফেলবো নাকি’। এসব আলোচনা যখন হতো তখন স্যার খুব হতাশ হয়ে বলতেন নির্বাচন করার জন্য আমাকে এনেছো কেন তোমরা। আমি তো কিছু সংস্কার করতে চাই। উপদেষ্টা পরিষদের সবাই মনে করেন সংস্কার প্রয়োজন।

নির্বাচন ডিসেম্বরেই করতে পারব তা বলতে পারছি না কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে করতে পারব সে বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
নয়া দিগন্ত : গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ কায়েমের দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। আইন উপদেষ্টা হিসাবে কী মনে করছেন?

ড. আসিফ নজরুল : নিষিদ্ধের ব্যাপারে আমার মন্ত্রণালয় থেকে একটা ড্রাফট করা হয়, আমরা একটা বিধানের প্রস্তাব রেখেছিলাম। পরে আমরা উপদেষ্টামন্ডলি চিন্তা করে দেখলাম যে আইসিটি অ্যাক্টের মধ্যে যদি আমরা চাপিয়ে দেই তখন বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসে যে এই আইন দরকার নাই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য অনেক আইন রয়েছে। যেমন ধরেন সন্ত্রাস বিরোধী আইন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন। এসব আইনে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা যায়। রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্ন আসবে। অথবা বিচারিক সিদ্ধান্তের মধ্যে যদি আসে যে এই দল সন্ত্রাস, গণহত্যা করেছে তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। আর এখনো যে পরিমাণ উসকানিমূলক বক্তব্য তিনি দিয়ে যাচ্ছেন, এই দলের কার্যক্রম যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বিচার, স্থিতিশীলতা, নির্বাচন সব কিছু ব্যাহত হতে পারে। এমন কোনো বিবেচনা যদি আদালত থেকে আসে তখন সরকার অবশ্যই বিবেচনা করবে।

নয়া দিগন্ত : নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কোন্ কোন্ বিষয় সংস্কার অবশ্যই হওয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন?

ড. আসিফ নজরুল : কিছু সংস্কার আছে, যার সাথে সংবিধান জড়িত না। সিভিল আইনে বিচার করতে অনেক সময় লাগে। এখন আমরা যদি সিআরপিসিতে, দেওয়ানি কার্যবিধিতে সংশোধনী আনি, এটা সাংবিধানিক বিষয় না, কোনো রাজনৈতিক বিষয়ও না। ফৌজদারি কার্যবিধিতে সংশোধনী এনে সংস্কার আনি, লিগ্যাল এইড অ্যাক্টে সংশোধনী আনি, বিচারকে আরো দ্রুত, আরো কার্যকর, আরো কম ব্যয় সাপেক্ষ করে যে কোনো সংশোধনী আনি সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিমত জানাবে বলে মনে করি না। তবে যেসব বিষয়ে সংবিধান জড়িত, যেমন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, ৭০ অনুচ্ছেদ কোন কোন বিষয়ে কার্যকর হবে, সংসদ দুই কক্ষ হবে নাকি, হলে তারা কিভাবে নির্বাচিত হবে- এসব সাংবিধানিক বিষয়। এখানে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।

নয়া দিগন্ত : ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের আধিপত্যের কারণে সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। এ বিষয়ে আপনার মত কী?

ড. আসিফ নজরুল : গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব জায়গায় চরম দলীয়করণ করে গেছে। ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের তারা চাকরি দিত। গোপালগঞ্জের লোক দ্রুত প্রমোশন পেয়েছে। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, যখনই ফ্যাসিবাদের দোসরদের নাম আসছে, প্রমাণ আসছে তখনই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা পুরাপুরি এখনো করা যায়নি। তারা যদি আমাদের কাজে বাধা নাও দেয়, তারপরও আমাদের কাজের যে গতি সেটার সাথে তারা তাল মিলিয়ে থাকে না। কাজের ক্ষেত্রে আমাদের যে তীব্র আকাক্সক্ষা কাজ করে তা তাদের মধ্যে করে না। ফলে কাজ একটু ধীরগতির হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত : জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে কি না?

ড. আসিফ নজরুল : সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। জুলাই ফাউন্ডেশন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জন্য একটা অধিদফতর করা হচ্ছে। যাতে স্থায়ী সাহায্য করা যায়, পুনর্বাসনের প্রশ্নটা থাকে। এ ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। সরকারের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে। কাজের দক্ষতার ঘাটতি থাকতে পারে। সরকারের সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নাই।
নয়া দিগন্ত : জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু ও শেষ হতে কতদিন লাগতে পারে?

ড. আসিফ নজরুল : কবে শেষ হবে সেটা বলা ঠিক হবে না। এই মাসে একটা চার্জশিট দাখিল হয়েছে। আরো দুই তিনটা দাখিল হয়ে যেতে পারে। মে’র শেষ দিকে বা জুনের শুরুতে বিচার কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারপর বেশিদিন লাগার কথা নয় সম্ভবত।

নয়া দিগন্ত : সংবিধানের ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে কমিশন। সুপারিশ কার্যকর করে নির্বাচন সম্ভব কি?

ড. আসিফ নজরুল : বিচারপতি শাহাবুদ্দিন যখন প্রধান বিচারপতির পদ থেকে এসে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তখন এই কাজটা অবৈধ ছিল। পরবর্তীকালে সব দল মিলে ১১ আর ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে পুরা প্রক্রিয়াকে বৈধ করেছে। সব রাজনৈতিক দল যদি ঐকমত্যে আসে তাহলে নির্বাচিত সরকার এসে এর বৈধতা দিয়ে দিবে। এটা কোনো বিষয় না। সবার যদি ঐকমত্য থাকে, নিয়ত থাকে, তাহলে সাংবিধানিক অনেক সংস্কার এখনো করা সম্ভব।

নয়া দিগন্ত : বিগত গত ৮ মাসে আপনার মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

ড. আসিফ নজরুল : আমার মন্ত্রণালয় থেকে বিপুল সংখ্যক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করেছি। ৪ হাজারের মতো সরকারি উকিল নিয়োগ দিয়েছি। অনেক প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় যারা সংস্কার করছে তাদের আমরা সহায়তা করেছি। অনেক আইনগত সংস্কার করা হয়েছে। অনেকে আমাদের সাথে দেখা করার আর্জি করছে, তারা যে প্রতিকার চান তাদের প্রতিকার দেয়ার চেষ্টা করছি। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পরিবর্তন আনলাম। দেওয়ানী বিচারে সংস্কার এনেছি। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা আছে, তাদের বিচার করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের যা যা করা দরকার আমরা সব করেছি। লিগ্যাল এইডকে আমরা অনেক দূর বিস্তৃত করতে চাচ্ছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন নতুন মার্কেট ওপেন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জাপান, সার্বিয়াসহ কিছু দেশে শ্রমবাজার ও চাকরির বাজার ওপেন করার জন্য কাজ করছি, মালয়েশিয়ার মার্কেট ওপেন করার জন্য কাজ করছি। বিমানের টিকিটের দাম কমানোর জন্য কাজ করেছি। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীদের লোন পাওয়া সহজতর করা হয়েছে, প্রবাসীদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য একটা হাসপাতাল বানানোর পরিকল্পনা করছি। কাজ তো সারাদিন করি আল্লাহর রহমতে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়