সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য তোলা হয় শাজাহান খানকেও।
শুনানির সময় শাজাহান খান কাঠগড়ার সামনেই দাঁড়ান। মনোযোগ দিয়ে শুনানি শোনেন। এ সময় তাকে শুনানির নানা সময়ে হাসতে দেখা যায়। কাঠগড়ায় অনেক আসামির সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। শুনানির এক সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে পানি পান করেন। শুনানি শেষে যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায় নতুন করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শুনানি শেষে তাকে হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় শাজাহান খানকে হাসিখুশি মুখেই যেতে দেখা যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন কারাগারে কেমন নববর্ষ কাটল। এ বিষয়ে শাজাহান খান হেসে বলেন, ‘আমাদের কথা আর কত শুনবে। তোমরা কিছু বলো। নববর্ষ যে হইছে এটাই তো..।’ এ ছাড়া আদালতে উঠার সময় শাজাহান খান আরও বলেছেন, ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি।’
একইদিনে বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে বিভিন্ন মন্ত্রী এমপির সঙ্গে রিমান্ড ও গ্রেফতার শুনানির জন্য তোলা হয় আওয়ামী লীগের সহযোগী দুইটি দলের হেভিওয়েট নেতা জাসদের ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির মেননকে। শুনানির সময় কাঠগড়ায় পাশাপাশি দাঁড়ান ইনু ও মেনন। মেনন মুখে হাত দিয়ে একটু মনোযোগ সহকারেই সবার শুনানি শুনছিলেন।
পাশে দাঁড়িয়ে ইনুও যেন তার সঙ্গ দিচ্ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রী এমপি আসামিদের শুনানির সময় কখনো হাসতেও, কখনো বিরক্ত হতে দেখা যায় তাদের। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও বলেন তারা।
শুনানির এক পর্যায়ে হাসানুল হক ইনু হেসে মেননকে বলেন, ‘দিন আমাদেরও আসবে।’ তবে এ কথার কোনো উত্তর না দিয়ে শুধু মুচকি হাসেন রাশেদ খান মেনন।
এদিকে শুনানি চলাকালে মেনন তার আইনজীবী তানভীরকে বলেন, ‘কালকে হয়তো আমাকে হাসপাতালে তুলতে পারে।’ কি বিষয়ে জানতে চাইলে তার আইনজীবী তানভীর বলেন, উনি (মেনন) আসলে অসুস্থ। ৮৩ বছর বয়স। কাল উনাকে হাসপাতালে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে শুনানি শেষে ইনু ও মেননকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের আবার কড়া নিরাপত্তায় হাজতখানায় নেয়া হয়। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর একাধিক মামলায় রিমান্ডে গেছেন ইনু ও মেনন।