ইউএনবি: শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আলোচনায় তিনি এমন কথা বলেন।
রাষ্ট্র সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া পদক্ষেপ হলেও এই দাবি এ দেশের জনগণের বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আলোচনায় তিনি এমন কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেয়া হলেও এই দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে সাতটি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।