শিরোনাম
◈ গাজা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ট্রাম্প ◈ ইউনূস-মোদি বৈঠক: আওয়ামী শিবিরে প্রচণ্ড হতাশা ◈ ট্রাম্পের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আসছেন ঢাকায়, যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে  ◈ ৬ হত্যা মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরী জামিন পায় আর আমি ৩২৩ ধারার মামলায় জামিন পাই না: ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও) ◈ সাগরে লঘুচাপ, যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ গাজা ইস্যুতে এবার রাজপথে নামছেন আজহারি, দেখুন ভিডিওতে ◈ যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ ◈ ‘বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয়, চেক প্রজাতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত’ ◈ সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার ◈ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান বিএনপির

মনিরুল ইসলাম : বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ  বলেছেন, ভারত সরকার মুসলিম ওয়াক্ফ (সংশোধন) বিল ২০২৫ পুনঃবিবেচনা করবে। আমরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

তিনি বলেন, ভারতের  পার্লামেন্টে মুসলিম ওয়াক্ফ (সংশোধন) বিল ২০২৫ নামে একটি আইন পাশ করা হয়। আইনটির বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি যে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার খর্ব করা এবং বৈষম্য মূলক আচরণের চেষ্টা করা হয়েছে এই আইনে। ভারতে মুসলমানরা এবং বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এই বিলকে অসাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

আজ রোববার বিকালে গুলশানস্থ চেয়ারপার্সন কার্যালয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওয়াক্ফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। ওয়াক্ফের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোন সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না।

ভারতের জনসংখ্যার ১৪% অর্থাৎ প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্য, অধিকার, সংস্কৃতি ও স্বার্থবিরোধী এই আইনকে অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যা ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর অধিনে প্রায় ১০ লক্ষ একর সম্পত্তির মধ্যে অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণ মূলক কাজে। নতুন আইনে পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে মুসলিম নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্থক্ষেপের কারনে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা দেখা দিতে পারে এ রকম কোন পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গ্রহণ করা সমিচীন নয় বলে আমরা মনে করি। ভারতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এই জাতীয় বোর্ডে অথবা কোন আইনী সংগঠনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোন অন্তর্ভূক্তি দেখা যায় না।

সেক্ষেত্রে এই আইনটি একটি বৈষম্যমূলক আইন হিসাবে বিবেচিত হবে। নতুন আইনে পরিবর্তনগুলো শত শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ওয়াক্ফ জমির উপর গড়া মসজিদ এবং অন্যান্য ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবির্ষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। নতুন আইনে অমুসলিম সদস্যদের এই সম্পত্তিসমূহের ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যে এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে তা মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।

সালাউদ্দিন বলেন, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ বোর্ডের মতো সংগঠনগুলোর মতে এই আইন ইসলামি ওয়াক্ফ ব্যবস্থার মূল চেতনার পরিপন্থী। তাদের মতে ওয়াক্ফ বোর্ডের পরিচালনা মুসলমানদের দ্বারাই হওয়া উচিত। তারা একে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল বলে অভিমত দিয়েছেন।

ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বী নগরিকদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের ভূমিকাকে সমুন্নত রেখে উক্ত আইনটি ভারত সরকার পুনঃবিবেচনা করবে, আমরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়