শিরোনাম
◈ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে এখন ছাত্ররাই কেন সংগঠন তৈরি করছে? ◈ শিবির নেতার ওপর হামলা, ছাত্রদলকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বার্তা ◈ পশ্চিমতীরে তীব্র অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ স্ত্রীর সামনে ফিল্মি স্টাইলে যুবদল কর্মীকে কু.পিয়ে হত্যা ◈ সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোয় রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ে পতন কেন? ◈ কুয়েট উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি শায়খ আহমাদুল্লার খোলা চিঠি ◈ খিলগাঁওয়ে স মিলে আগুন, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে না দেখে: ভারত

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:১৮ রাত
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শহিদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রপতির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, হাসিনার ফাঁসি দাবি (ভিডিও)

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রজনতা। রাষ্ট্রপতি শহিদ মিনারে উপস্থিত হওয়ার পরপরই ‘গো ব্যাক চুপ্পু’  শ্লোগান দেন তারা।

এছাড়া বিক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, শেখ হাসিনার ফাঁসি ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আট দিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানরত ছাত্রজনতা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

মিছিলটি শামসুন্নাহার হলের সামনের ব্যারিকেড অতিক্রম করে শহিদ মিনারের কাছে শিববাড়ী মোড়ে পৌঁছে যায়। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি আটকে দেয়। তখন ছাত্রজনতা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

বিক্ষোভ থেকে ‘শহীদ আবু সাঈদ জিন্দাবাদ’, ‘জুলাই বিপ্লব জিন্দাবাদ’, ‘ড. ইঊনূসকে রাষ্ট্রপতি করো বিপ্লবী সরকার গড়ো’ ‘অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ চাই’, ‘রাষ্ট্রপতির ঠিকানা শহীদ মিনারে হবে না’, ‘খুনী হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও গালীব ইহসান,  কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজু আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম ও কায়েস আহমেদ; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ইফাত, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ; ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মাহি ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাকিব, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো: ফরহাদ আহমেদ আলী প্রমুখ।

রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজু ভাস্কর্যের গণঅবস্থানে ফিরে আসে ছাত্রজনতা। এ সময় তারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যে তারা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন। এতে বিগত আওয়ামী লীগ রেজিমের ফ্যাসিস্টদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। 

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। 

১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহিদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। 

গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি। উৎস: যুগান্তর ও নিউজ টুডে বাংলা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়