শিরোনাম
◈ আ.লীগ-ছাত্রলীগের নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও)  ◈ নির্বাচন কবে? নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর: প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ দুবাইয়ে চালু হলো অভিনব রেল বাস ◈ বুকস্টলে বাগবিতন্ডা-হট্টগোলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাজীপুর জেলা বিএনপির সংশোধিত আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠন ◈ সোনার দাম বেড়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ  ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ, যে আলোচনা হলো ◈ সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিদ খান গ্রেফতার ◈ ফেনীতে জামায়াত নেতা বহিষ্কার, নেপথ্যে যা জানা গেল ◈ সমাজবিরোধীরা কোনো ব্যক্তিকে হুমকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১২ দুপুর
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

মহসিন কবির: দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে একাট্টা হচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চায় দলগুলো। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিসহ বিভিন্ন জন দাবীতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে রমজান শুরু হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে সভা-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হবে। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই সেখানে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংস্কার কমিশনের কোনও প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলে বিএনপি বাধা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ, তারা নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা এই মুহূর্তে কী কার্যক্রম করছেন এবং জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কী, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি।

তিনি বলেন, আমরা জেনেছি কমিশনের পক্ষ থেকে তারা একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল, তারা কবে কী করবেন। এটা তারা প্রচলিত আইন অনুযায়ী করেছেন। এর মধ্যে তারা ভোটার তালিকা আপডেট করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০ লাখ ভোটার যুক্ত হচ্ছে, যাদের যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আগে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তারা বাদ পড়ে গেছিল। এর মধ্যে আবার ১৫ লাখ ভোটার বাদ পড়ে যাবে, কারণ তারা মারা গিয়েছে। তার মানে নতুন করে ১৫ লাখ ভোটার যারা আগেই যোগ্য হয়েছিল তারা যুক্ত হচ্ছেন। তবে বাদের তালিকায় আরও কিছু ভোটার যুক্ত হতে পারে, কারণ মৃতদের তালিকা করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে। তবে আমরা সবাই জানি আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ মৃত্যুর পর রেজিস্ট্রেশন করে না। এগুলো অনুসন্ধানের কাজ চলছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে। এ সময় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করার কারণ নেই। এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেহেতু নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হয়েছে এবং স্ট্যাবিলিটি এসেছে। তাই নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হবে। এ কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারি আমরা।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপি ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তাই যেকোনো সময় নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করা হোক।

দাবি আদায়ে ‘রাজপথের বিকল্প নাই’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিনা সংগ্রামে মানুষের অধিকারও কখনো আদায় হয় না। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, জ্ঞানপাপী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কখনো কিছু আদায় করা যায় না। রাজপথের বিকল্প নাই। আমার মনে হয়, আমাদের আবারও রাজপথে নামতে হবে। হয়তো অতীতের চেয়েও কঠিন যুদ্ধ করতে হতে পারে।’

জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করতে দ্রুত আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি সফল হতে দিতে চাই, তাহলে সরকারকে গাইড করার জন্য আমাদের যথেষ্ট সমালোচনা করতে হবে। এমনকি সরকারকে সঠিক রাস্তায় আনার জন্য আন্দোলনও করতে হতে পারে। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে যদি দেরি করেন, সেই যৌক্তিকতা আপনাদের জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। ইতোমধ্যে ছয় মাস পার হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেওয়ার ১৪-১৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। 

অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি। মান্না বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভালো নয়, প্রশাসনে কোনো শৃঙ্খলা নেই। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে মানসম্মান নিয়ে চলে যান। নইলে পরিণতি খারাপ হতে পারে। সংস্কারের নামে দীর্ঘসূত্রতা করবেন না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়