শিরোনাম
◈ রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মধ্যরাতে জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ ট্রাম্পের ◈ যেসব উপকার পাবেন ডালিমের রস ও চিয়া সিড খেলে, যেবাবে তৈরি করবেন ◈ ‌‘সৌদি আরবে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার’ ◈ গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত ◈ গাছ কাটতে নিতে হবে অনুমতি: হাইকোর্টের রায় ◈ ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ডন! ◈ ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের রশি টানাটানি কেন ◈ ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ ◈ তারেক রহমান ও ঢাবি প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদের পুরোনো কথোপকথন ফাঁস (অডিও)

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৩৩ দুপুর
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে,জড়িত যারাই থাকুক  আইনের আওতায় আনা হবে :  ডা. জাহিদ

মনিরুল ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন,বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো না।

 কোকোর  ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে। এর সঙ্গে জড়িত যারাই থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পূর্বলন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত এক দোয়া-মহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আজ সোমবার সকালে  বিএনপির প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়, ডা. জাহিদ বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি ক্রিড়াঙ্গণে একজন মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট সারা পৃথিবীতে একটি পর্যায়ে চলে এসেছে। এই অবদান তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দেয়া হলে সেটি ইতিহাসকে বিক্রিত করা হবে।

ডা. জাহিদ বলেন, আরাফাত রহমান কোকোকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার মৃত্যুকে আমরা কখনই স্বাভাবিকভাবে নিইনি এবং এখনও নিচ্ছি না। কাজেই আমরা এটা খুজে বের করার চেষ্টা করছি, এর মূলে রহস্যে কী আছে। সে অনুযায়ী এর সঙ্গে সম্পৃক্ত যারাই আছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময়ই চেষ্টা করবো। 

এসময় দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষ জিয়া পরিবারের প্রতি যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতাও জানান।

ডা. জাহিদ আরও বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যারা নিজ কানে শুনেছেন ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’। ২৬ এবং ২৭ মার্চ ১৯৭১ আমরা অনেকেই শুনেছি। কাজেই যারা আমরা শুনেছি তারা জানি, যারা পালিয়ে গেছে তারা দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পালিয়ে গেছে, আবার কেই আত্মসমর্পণ করেছেন। আর যে মানুষটি নিজের দুটি নাবালেগ শিশুর কথা ভুলে গিয়ে দেশ প্রেমের কাথা চিন্তা করে নিজের সহধর্মীর কথাও মনে রাখেন নাই। শুধু সামনে এগিয়ে গেছেন দেশ এবং দেশ প্রেমে সাড়া দিয়ে। নিজের পরিবারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে মানুষটি অস্ত্রহাতে রনাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন সেই মানুষটি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে ঘোষণা হয়েছে, আর সিলেটে প্রথম সেক্টর কমান্ডরদের মিটিং হয়েছে জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে সেখানেই প্রথম ১নম্বর সেক্টর কামান্ডার হয়েছেন জিয়াউর রহমান। আবার সেখানেই জেড ফোর্স গঠন করা হয়েছে, সেটার কমান্ডারও জিয়াউর রহমান। কাজেই বিএনপি করবেন গর্ব করবেন। আপনাদের ইতিহাস পালিয়ে যাওয়ার নয়,সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।  

ডা. জাহিদ আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সেই মানুষ, ৭ নভেম্বর যে মানুষকে এই দেশের সিপাহী জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনেছিলো। তখন বিএনপি ছিলো না, কোনও অঙ্গসহযোগি সংগঠন ছিলো না। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস ছিলো ওই মানুষটির উপর, যে উনাকে যদি দায়িত্ব দেয়া যায় তাহলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অখণ্ড থাকবে।তিনি নিজেই ক্ষমতায় বসেননি। সিপাহী জনতা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তার পরেও তিনি গণভোট দিয়েছিলে। তখন জনগণের মেন্ডেড নিয়েই ক্ষমতায় ছিলেন। মাত্র সাড়ে ৪ বছরের শাসনামলে তলাবিহনী দেশের তলা লাগিয়েছিলেন। কাজেই যারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলেন, আগে তারা আইনায় নিজের চেহারা দেখবেন। জিয়াকে নিয়ে কথা বলার অবস্থা আপনাদের আদো আছে কিনা।

তিনি আরও বলেন, দেশে যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না হতো, মুক্তিযুদ্ধ না হতো, আপনারা কোনও অবস্থাতে ৯০ও দেখতেন না, ২৪ এর ৩৬ জুলাইও দেখতেন না। বহু মানুষের ত্যাগের উপর দাঁড়িয়েই আজকের বাংলাদেশ।

ডা. জাহিদ আরও বলেন, আমরা যেমন আবু সাঈদের কথা ভুলবো না, মুগ্ধের কথা ভুলবো না ঠিক একই ভাবে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের  কথাও ভুলবো না। গত ১৫টি বছর গণতন্ত্র পুরুদ্ধারের জন্য যুদ্ধ করেছে, তাদের সবাইকে যার যার সম্মান দিতেই হবে। কাজেই বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।

ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ক্ষমতার মসনদে বসে রাজনৈতিক দল করার কেউ কেউ চেষ্টা করবেন আবার চুপচাপ করে তাল দিনেব অন্যদেরকে রাজনৈতিক দল করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ মহবিল থেকে টাকা নিয়ে ডিস্টিভিউট করবেন সংগঠক হবেন ভালো কথা কিন্তু রাজনৈতিক দল করতে হলে সব কিছু ছেড়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো মঠে আসুন, কর্মসূচি দিন। জনগণকে সংগঠিত করুন। জনগণ যাকে ভালো মনে করবে তাকে গ্রহণ করবে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। নিজেদেরকে অতি বা প্রতি বিপ্লবী ভাবার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন বিএনপির জন্ম জনগণের মধ্য থেকেই হয়েছে। খালেদা জিয়া এক দিনেই তৈরি হননি। আগুনে পুড়তে পুড়তেই আজকের বেগম খালেদা জিয়া।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক বলেন, খালেদা জিয়া তো সুস্থ অবস্থায় জেলে গেছেন। তাকে তিলে তিলে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর বিচার করতেই হবে। আর এখন ছাত্ররা দেশ চালাচ্ছেন। ছাত্ররা দেশ চালালে শিক্ষকরা কী করবেন?

অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কোঅর্ডিনেটর আবু নাছের শেখ ও শরফরাজ শরফুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফির আরও বক্তব্য দেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়