শিরোনাম
◈ জনসংখ্যা দ্রুত কমছে, মাথা খারাপ ভারতের! ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে যে কারণে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মরদেহ দেখতে ল্যাবএইড হাসপাতালে গেলেন: মির্জা ফখরুল  ◈ হামজার মতো আরও কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশের হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রেরণা দিবে বাফুফে ◈ নেপালকে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হলো বাংলাদেশ ◈ উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘‘কড়া প্রতিবাদ’’ জানিয়েছে ভারত ◈ দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে ছুটে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ অল্পকিছু টাকা দিয়ে মানুষ হারানোর অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়: সারজিস আলম ◈ দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু এর পাসপোর্ট কিনেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল! ◈ কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

প্রকাশিত : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:২৭ দুপুর
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলকাতায় সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে মেয়ে ডরিনের ডিএনএ মিলেছে: এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে দুটি নমুনাই পাঠানো হয়েছিল। সে দুটির ডিএনএ মিলে গেছে। জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ দিকে ডরিন কলকাতায় এসেছিলেন। তখন তার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দুটি নমুনাই যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল।

চিকিত্সার জন্য গত ১২ মে এ রাজ্যে এসেছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। পরের দিন ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান, বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। তোমাদের ফোন করার দরকার নেই। ১৫ মে ফের বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ জানান, আমার সঙ্গে ভিভিআইপিরা আছেন। যোগাযোগ করার দরকার নেই। বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সচিবকেও সেটি ফরওয়ার্ড করেন। এরপর থেকে তাকে ফোনে আর পাওয়া যায়নি। ১৭ মে আনারের মেয়ে বাবার বন্ধুকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ১৮ মে গোপাল বিশ্বাস বরানগর থানায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে জানানো হয়। তার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তদন্ত ভার নেয়।

কয়েক দিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি চালানো হয়। খালের পাড় থেকে উদ্ধার হয় তার খণ্ড খণ্ড হাড়ের টুকরো। পরে নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেখানকার সেপটিক ট্যাংক থেকে কুচো কুচো মাংসের টুকরো উদ্ধার করে সিআইডি। নমুনা পরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত হয় উদ্ধার হওয়া মাংস মানুষেরই। ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি ইতিমধ্যেই সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন পলাতক। নমুনা নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে ডরিনকে ডিএনএর নমুনা দেওয়ার জন্য আসতে বলে। কিন্তু আগস্টে বাংলাদেশে সরকারের পালা বদলের কারণে তার আসা থমকে যায়। নভেম্বরে এসে তিনি নমুনা দেন।

নিখোঁজ ডায়ারির ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একটি অ্যাপক্যাবের সন্ধান পেয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সেটিতে করেই আনোয়ারুল আজিম বের হয়েছিলেন। চালককে জেরা করে জানা গেছে, ১৩ মে কৈখালী অঞ্চল থেকে তার গাড়িতে এক মহিলা ও দুই পুরুষ ওঠেন। এরপর গাড়ি যায় নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন আবাসনে। এরপরই তদন্ত চালাতে ঐ আবাসনে যায় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তল্লাশি শুরু হয়। আবাসনের ফুটেজ থেকে জানা যায় ১৩ মে আনোয়ারুল এবং এক মহিলা, দুই পুরুষ সেখানে ঢুকেছিল। পরে পর্যায়ক্রমে একাধিক দিনে তিন জন বেরিয়ে গেলেও আনোয়ারুল বের হননি। সিআইডি সে সময় জানিয়েছিল, আমাদের কাছে ইনপুট আসে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিসিটিভির ফুটেজে সাংসদের সঙ্গে আসা দুই জনকে একটি ট্রলি ব্যাগসহ বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঐ আবাসনের ফ্ল্যাটটির ভেতরে রক্তের দাগও পাওয়া গায়। সেই রক্তের দাগ বাংলাদেশের সাংসদের কি না, জানতে ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করে। যে গাড়িটি করে তারা ঐ আবাসনে গিয়েছিলেন সেটিও ফরেনসিক করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়