শিরোনাম
◈ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল জুনে শুরু ◈ ‘আবার এলো বিপিএল’ থিম সং প্রকাশ, কয়েকটি লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস ◈ মায়োর্কাকে হারিয়ে লা লিগায় জয়ের ধারায় ফিরলো  বার্সেলোনা ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র: স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র ◈ শেখ হাসিনা শাসনামলের মতো কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না : ফজল আনসারী ◈ রুশ বাহিনী আরও দ্রুত গতিতে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ◈ দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন প্রত্যাহার, চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট ◈ চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্ন, যা বললো যুক্তরাষ্ট্র ◈ নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬, আহত ৫৯৯ : এইচআরএসএসের মাসিক প্রতিবেদন

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের আশ্রয়ে থেকে হাসিনা কীভাবে বিবৃতি দিতে পারেন: দীনেশ কে ভোরা (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য কোন দেশে কূটনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন, তখন তিনি কোন প্রকার রাজনৈতিক বিবৃতি দিতে পারেন না। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক বিবৃতি। যা রীতিমতো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব কাছের হওয়ায়, এবং তার সরকারের ক্ষমতাবলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দিতে পারছেন। এমনটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নিউজ টাইমের বর্ষীয়ান সাংবাদিক দীনেশ কে ভোরা।

গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিউজ টাইমের বর্ষীয়ান সাংবাদিক দীনেশ কে ভোরা প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা এক ব্যক্তি কীভাবে বিবৃতি দিতে পারেন?

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো ব্যক্তি একটি দেশে কূটনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকে তখন তিনি বিবৃতি দিতে পারেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই নিয়মের উলঙ্ঘন করেছেন।

ভোরার মতে, শেখ হাসিনা যা বলছেন, তা আসলে মোদি সরকারের শিখিয়ে দেয়া বুলি। মোদি সরকার আসলে শেখ হাসিনার কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের কথাই বলিয়ে নিতে চাইছে হাসিনাকে দিয়ে। ভোরার মতে, এই প্রবণতা আসলে আগুন নিয়ে খেলার সমান, আত্মঘাতী পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনীয়। এর আগে নেপালের সঙ্গেও এমন আচরণ করেছে ভারতের মোদি সরকার। নেপালের সংবিধানে নাক গলিয়ে পার্বত্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ভারত।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আরও জানা গেছে, অখণ্ড নেপালের মানচিত্র সংসদে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরি করে ভারত। যদিও নেপাল সরকার ভারতকে বেশিদূর এগোনোর সুযোগ দেয়নি। জানিয়েছেন করা জবাব প্রতিক্রিয়ায় ভারত নেপালে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। যদিও আজ পর্যন্ত ভারত সেকথা স্বীকার করেনি। সেদিন থেকে নেপালের মানুষ ভারতকে ঘৃণা করে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আরো জলঘোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইস্কন মন্দির থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আর তাদের সদস্য নয়।

এদিকে ভারত শেখ হাসিনাকে এতটাই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে যে তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। হাসিনাকে এখনই না থামালে দু দেশের সম্পর্ক আরো তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করেন সাংবাদিক ভোরা। মালদ্বীপ, নেপাল ভুটানের মতো একই ভুল বাংলাদেশের সাথে করছে ভারত। নিজেকে বিশ্বগুরু প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আসলে আগুন নিয়ে খেলছে ভারতের মোদি সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়