মহসিন কবির।। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ১৬ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। দেশে ও বিদেশে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তত ৪০টি মামলায় খালাস কিংবা অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
সবশেষ তিনি ১ ডেসেম্বর ২১ আগস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন। একই দিন সিলেটে রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলাতেও তিনি অব্যাহতি পান।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ৯ বছর, বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় ৭ বছর এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে মানহানির একটি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। এই চারটি মামলার বাধা পেরুলেই মুক্তি মিলবে তারেক রহমানের।
প্রতিটি মামলাতেই তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইনের বিধান অনুযায়ী, এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বিষয়টি উল্লেখ করে শীর্ষ আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ ধারায় সরকারের নির্বাহী আদেশে আপিল কিংবা অন্য শর্তে সাজা মওকুফে বিধান রয়েছে। আপাতত এই আইনি প্রক্রিয়াটি তাদের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। যদি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে যেসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন সেগুলোতে আপিল করে আইনি মোকাবিলা করবেন।
ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চলে যান যুক্তরাজ্যে।
আপনার মতামত লিখুন :