শিরোনাম
◈ রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ফুটবল মাঠে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, শতাধিক সমর্থকের মৃত্যু ◈ হেফাজতে ইসলামের আমির ও বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ শীর্ষ ১২ আলেমের বিরুদ্ধে মামলা ◈ সাকিবকে ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির, নেই শান্তও ◈ আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ নারী দল ◈ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ফের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ নেতাদের কথাবার্তায়-চলাফেরায় নির্ভর করছেন বিএনপির আগামীর ভবিষ্যৎ: তারেক রহমান ◈ মমতার বক্তব্য সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি, প্রত্যাহারের দাবি মির্জা ফখরুলের ◈ ভেস্তে গেল বেনাপোল-পেট্রাপোল বানিজ্য ও যাতায়াত পরিসেবা বন্ধের চক্রান্ত ◈ ভারতের দুঃখ প্রকাশ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ◈ ট্রেনে ছিনতাই: ওমরাহ ভিসা থাকায় সেই মা-ছেলের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিল

প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

২০ কোটি লোকের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে বাংলাদেশ দখল করতে হবে: মির্জা আব্বাস(ভিডিও)

মনিরুল ইসলাম: বাংলাদেশ দখল করতে হলে ২০ কোটি লোকের রক্ত মাড়িয়ে করতে হবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘ভারতকে যদি বাংলাদেশ দখল করতে হয় তাহলে ২০ কোটি লোকের (সোলজার) রক্ত মাড়িয়ে দেশ দখল করতে হবে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সবাই বলে বাংলাদেশ ছোট গরীব দেশ। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাদশে উদার ও অনেক শক্তিশালী দেশ। একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের সোলজার কম। আমি তাদের ভাবতে বলব আমরা একাত্তর সালে ট্রেনিং ছাড়া যুদ্ধ করেছি। ২৪ সালে হাসিনা পতনে ও আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা অস্ত্রে যুদ্ধ করেছি। বাংলাদেশে ২০ কোটি লোক কিন্তু সোলজার। যদি আজকে বাংলাদেশ দখল করতে হয় তাহলে ২০ লোকের রক্ত মাড়িয়ে দেশ দখল করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে দেশের সব ইতিহাস নষ্ট করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। দেশের সেক্টর কমান্ডারের অফিস ছিল ভারতে। একমাত্র জিয়াউর রহমানের অফিস ছিল সিলেটে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ইতিহাস বইয়ে পড়েছে। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। আমরা সম্মুখ সারির যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এখনো আমাদের কোর্টে যেতে হয়। কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হবে। ইনশাআল্লাহ সঠিক সময়ে আমরা ন্যায় বিচার পাব। আমার এমন কোনো বছর নাই, যে বছর জেলে যাই নাই। মানুষ বলতো ভাই আপনার ঠিকানা কোথায় আমি বলতাম কোর্ট বা জেল। সেখানে আমাকে গেলে পাবেন।’
 
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার বিব্রত করার জন্য একটি চক্রান্ত করছে। কিন্তু আমরাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই সরকারকে স্বার্থক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক পথে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু একটি মহল বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলাচ্ছে। দেশের কিছু ইউটিউবার আছে যাদের কোনো কাজ নাই, তারা এসব কাজ করছে। আমরা প্রমাণ করেছি গণতান্ত্রিক দল। কারণ আমরা সুষ্টুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। আওয়ামী লীগ যদি সুষ্ঠু ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতো তাহলে আজকে দেশের এই অবস্থা হতো না।’

বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরবেন খুব তাড়াতাড়ি। আমি বলব যে, তারেক রহমান আমাদের মাঝে সহি সালামতে ফিরে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি। এজন্য আল্লাহতালা তাকে সুস্থ করেছেন, সুস্থ রেখেছেন এবং খালাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের খালাসের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। আল্লাহতালা যেন উনাকে দীর্ঘায়ু দান করেন যাতে দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লা্বের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস  এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নুরুল ইসলাম মনি, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা মহানগর আরিফা সুলতানা রুমা প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

১/১১ এর সময়ে তারেক রহমানের ওপর তৎকালীন সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমাদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান বিদেশে আছেন… উনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন বহুদিন এবং দেশে থাকার সময়ে তাকে গ্রেফতার করে অনেক অত্যাচার করা হয়েছিলো আপনারা জানেন… আমরা দেখেছি একই জেলে ছিলো চকবাজারের জেলে।

‘আমাদের সামনে থেকে উনি আগের রাত্রে বিদায় নিয়ে গেলেন… তাকে আর দেখিনি বহুদিন… তারপর যখন ফেরত আনলো তখন তিনি একেবারেই অসুস্থ… চলতে-ফিরতে পারতেন না। এখন বিদেশে আল্লাহর রহমতে মোটামুটি সুস্থ, যদিও সম্পূর্ণ সুস্থ না। উনি সুস্থ হওয়ার কথা না। বিকজ ওই অন্য ধরনের অত্যাচার ছিলো। দীর্ঘ প্রসারী এটার ফল আছে।

তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের রায়কে বিজয়ের মাসের ‘ন্যায় বিচার প্রাপ্তির একটি সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, আজকে বিজয়ের প্রথম দিনে একটি বিজয়ের খবর আপনাদের দিতে চাই… সেটা হলো, আপনাদের মনে আছে ২১ আগস্ট একটা গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো…সেই মামলায় যে, তারেক রহমান সাহেব এর মধ্যে জড়িত ছিলেন না বিদায় তাকেসহ সকলকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বিগত দিনগুলোতে ন্যায় বিচার পাই নাই। আমি আজকে ডিসেম্বরের প্রথম দিনে প্রথম একটা সুসংবাদ পেলাম।ইনশাল্লাহ সামনে আরও সুসংবাদ আমরা আশা করছি।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে লক্ষ লক্ষ মামলায় ‘ন্যায় বিচার’ আশা করছেন বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।

আলোচনাসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘শেখ হসিনা সরকার ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃত করছে যা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনেত মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধে পর একদলীয় শাসন কায়েম করার জন্য ৪০ হাজার দেশপ্রমিক মানুষকে হত্যা করেছে। বাকশালকে আরও শক্তিশালী করতে শান্তিরক্ষী বাহিনী সৃষ্টি করেছে। ১৫ আগস্ট যদি ঘটনা না ঘটতো তাহলে বাংলাদেশে আর স্বাধীনতা থাকতো না। যুগে যুগে এই দেশের স্বাধীনতার উন্নয়নে জিয়াউর রহমান অবদান অনেক।’

‘২১ আগস্টের মামলায় বিদেশী শক্তি যুক্ত’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাটা ছিলো পরিকল্পিতভাবে কোনো বিদেশী শক্তি দ্বারা। সেই গ্রেনেড হামলায় কখনই বিএনপি ইনভল্ড ছিলো না।”

‘‘একটা বিদেশী শক্তি এই অপকর্মটা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের নেতা বিএনপির এ্যাক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান উনাকে ফাসাতে চেয়েছিলো… শুধু ফাসাতে চেয়েছিলো না, একটা ভুল মিথ্যা মামলা তৈরি করে সাজানো একটি গল্প তৈরি করে সেই গল্পের ওপর ভিত্তি করে তাকে(তারেক রহমান)সাজাও দিয়ে দিয়েছিলো… এই মামলায় আরও অনেককে সাজা দিয়েছিলো… আজকে রায় দেয়া হয়েছে যে, তারেক রহমান সাহেব এর মধ্যে জড়িত ছিলেন না। তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়