মনিরুল ইসলাম: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে। গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে দেশ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের প্রকাশনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। চলমান সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারই সমস্যার সমাধান করতে পারে। কেননা তাদের পেছনে জনসমর্থন থাকে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রের উপর আঘাত হচ্ছে, গণমাধ্যমের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ হচ্ছে। কিছু সংখ্যক হঠকারী, কিছু সংখ্যক উসকানিদাতা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করে পরিস্থিতি নষ্ট করছে। এসব কাজ থেকে সরে আসুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় প্রতি মুহূর্তে কাজ করেছেন তারেক রহমান। এমনকি সেই সময় সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজকে কোমলমতি বালকেরা, তারা যেসব কাজ করছে, এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে।’
দেশের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে আবারও নির্বাচিত সরকারেই গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া এই ধরনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই পারবে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে এই যে, হাসিনাকে তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, এখানে তারেক রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি। আমরা চৌদ্দ বছর লড়াই করেছি, আমাদের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমাদের নেতা–কর্মীদের হত্যার পাশাপাশি সাত শ’র বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এই অবস্থাতেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সকলকে অনুপ্রাণিত করে, উজ্জীবিত করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। শেষের যে কয়টা দিন আমরা বলি যে, ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মূল সময়টা, সেই সময়ে তিনি প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখেছেন সবার সঙ্গে। এমনকি ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে পর্যন্ত।’
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জমির উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :