হাতকড়া পরানো নিয়ে আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন কারাগার থেকে শাহজাহান খানকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিচারকের অনুমতি নিয়ে শাহজাহান খান বলেন, ‘আমার বাবা, দাদাসহ আমাদের পরিবারের ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা ৩ বারের এমপি ছিলেন। আমি আট বারের এমপি ছিলাম। মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও হাতকড়া পরানো হয়নি। আমাকে যাতে হাতকড়া পরতে না হয়।’
এসময় বিরোধিতা করে রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আমরা আগে দেখেছি, অনেক মন্ত্রী ও এমপিকে ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে সাত ও আট তলায় উঠানো হয়েছে। ওনারা ক্ষমতায় থাকতে এটা করেছেন।
ক্ষমতায় থাকলে এক কথা আর ক্ষমতা শেষ হলে আরেক কথা। হাতকড়া ও হেলমেট এগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে পরানো হয়।’
এরপর বিচারক তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। হাতকড়া পড়ানোর বিষয় কোন আদেশ দেয়নি বিচারক।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে।
ওই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।
হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। উৎস: কালের কণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :