শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে জাস্ট ট্রানজিশনে অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান ◈ রুমায় কেএনএফ আস্তানায় সেনা অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার ◈ মার্ক জাকারবার্গের ভবিষ্যদ্বাণী: স্মার্টফোনের জায়গা দখল করবে স্মার্টগ্লাস ◈ আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ◈ আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ ও অসাংবিধানিক ছিল: হাইকোর্ট ◈ সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ◈ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ◈ বরিশাল থেকে ধরে আনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ ◈ ভারতে এসে প্রেম ও বিয়ে, নাগরিকত্ব চাইলেন বাংলাদেশের নারী ◈ বায়ুদূষণ রোধে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভারত

প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা  আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আদালত।

আদেশে আদালত বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়াকে আপিলের সার সংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ অভিযুক্ত প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচজনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় অভিযুক্তের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অপর চার অভিযুক্তরা হলেন—সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন বেগম খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বেগম খালেদার জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন বেগম খালেদা জিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়