আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধরের পর পুলিশে দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ১০ জনের বেশি এই মারধরের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এ ঘোষণায় তাদের কর্মসূচি প্রতিহত করতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে আসা কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে মারধর করা হয়। মারধরের পর তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়।
এদিকে আজ গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রতিহত করতে শনিবার রাতেই জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই পল্টন, প্রেসক্লাব, জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শনিবার রাতেই জিরো পয়েন্ট ঘিরে অবস্থান নিতে দেখা গেছে গণঅধিকার পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, হাজারো মানুষকে হত্যাকারী, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মাটিতে কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ প্রতিবিপ্লবের সুযোগ খুঁজছে জানিয়ে তাঁরা আরও বলেন, ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছে। কোনো প্রতিবিপ্লবেই আর কাজ হবে না।
এদিন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা ম্যাসাকার করতে চায়। এই দলটা একটা সাইকোপ্যাথের দল। আমরা এখানে আছি। দেখতে চাই তাদের মাথায় কত বিষ। তাদের লেজে কত বিষ। মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে তাদের বিষ নামানো হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে খুনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না।’
এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দল পল্টন থানার নেতা-কর্মীদের স্ট্যাম্পসহ মিছিল করতে দেখা গেছে। মিছিলটি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে ঘুরে নূর হোসেন চত্বরে ‘হইহই রইরই, শেখ হাসিনা গেলি কই’, ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা থানায় ভর’ প্রভৃতি স্লোগান শোনা গেছে।
উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বলেন, তারা সারা রাত জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে থাকবেন, যেন আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জিরো পয়েন্টে আসতে না পারে। সূত্র : আজকের পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :