শিরোনাম
◈ (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ যে দোয়া ‘জান্নাতের গুপ্তধন’ ◈ সর্বকালের সেরা ধনী ইলন মাস্ক: ফোর্বসের দাবি ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: আন্দালিভ রহমান পার্থ ◈ আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? ◈ সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ মুগ্ধকে নিয়ে গুজব: আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ভাই স্নিগ্ধের ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬ (ভিডিও) ◈ সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি এখন ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০৬ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

প্রত্যেককে একটি ম্যাসেজ দিতে হবে, ভোট হতে হবে, কোনো আপস নাই : তারেক রহমান 

মনিরুল ইসলাম : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রত্যেককে একটি ম্যাসেজ দিতে হবে যে, তোমার যাকে খুশি ভোট দাও, কিন্তু ভোট যাতে হয় যেকোনো মূল্যে এই ব্যবস্থাটা করতে হবে। আমাকে দেয়ার দরকার নাই। তুমি যাকে ভালো মনে করো, তুমি তাকে ভোট দাও। ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নাই। তিনি এই ম্যাসেজ দেন কৃষকদলের নেতা- কর্মীদের। 

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষকদলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময়  আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

কৃষকদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেককে একটি ম্যাসেজ দিতে হবে যে, ভাই তুমি যে রাজনীতিতেই বিশ্বাস করো না কেনো, কিন্তু তুমি একটি জায়গায় এসে দাঁড়াও। ওই ডামি নির্বাচন হতে পারবে না, ওই নিশিরাতের ভোট হতে পারবে না। দিনের আলোতে ভোট হতে হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। নিরাপদে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কেউ কাউকে ভোট দেয়ার সময় ডিস্টার্ব করতে পারবে না। যাবে, লাইন ধরবে, ভোট দিয়ে চলে আসবে। তার মত সে প্রকাশ করবে। কোন ভয়-ভীতি থাকবে না। নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোন আপস নয়। ষড়যন্ত্র যদি রুখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। 

তিনি  বলেন, দেশ, দেশের মানুষ এবং এদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি, এই তিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্র যে থেমে নেই তা আপনারা পত্র-পত্রিকায় নিউজের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে, বিভিন্ন টেলিফোন আলাপের মাধ্যমে আপনারা কম-বেশি জানতে পারছেন। কাজেই জাতীয়তাবাদী শক্তির সহকর্মীদের বলব, ষড়যন্ত্র যে থেমে নেই। এই কথাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

তিনি বলেন, যারা মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। যেদিন এরকম একটি সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে, সেদিনই বাজার পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমরা যেটাই উন্নত করতে চাই না কেনো, জনগণের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করে এরকম ব্যক্তিদের সামনে আনতে না পারলে কোনভাইে আমরা ভালো কিছু করতে পারব না।  

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০ কোটি মানুষের দেশে আমাদের পানি বিরাট একটি সংকট আছে। পানি কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত। কৃষির সঙ্গে পানি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া আপনি কৃষির কিছুই করতে পারতেন না। শহীদ জিয়াউর রহমানের সময় খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় কৃষির অনেক সেক্টরে হাত দেয়া হয়েছিল। তার ফলেই কিন্তু শহীদ জিয়া যখন দেশের দায়িত্বভার পান, তখন ফসলের উৎপাদন ছিল, বিশেষ করে ধান ১১ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি ছিল। শহীদ জিয়ার সময় দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দুই মিলিয়নের বেশি এটি বৃদ্ধি পায়। এটির প্রধান কারণ ছিল, খাল খনন কর্মসূচি। আগামীতে বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে আমরা শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি আবার শুরু করব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়ন পর্যন্ত সরকারিভাবে ক্রয় কেন্দ্র করা যায় কি, এটি করলে লাভ হবে কি না- এটি আমাদের চিন্তার মধ্যে আছে। কৃষকের জন্য শস্য বীমা চালু করা, সেচ ব্যবস্থা, কৃষকের স্বার্থ উন্নয়নসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা, একচেটিয়া কারবারি বন্ধ, সমবায় ভিত্তিক চাষ পদ্ধতি চালু করাসহ কৃষকের জন্য অনেক বিষয় আমাদের দেখতে হবে।   

ঝড়, বৃষ্টি, তুফান এবং বন্যায় এদেশে কৃষকের ফসল নষ্ট হয় মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি। যাতে কৃষকের বীজ ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সে সময় পর্যন্ত কৃষককে সেই সহযোগিতা করা যায়। সারের সমস্যা আছে। আর একটি বড় সমস্যা আছে। সেটি হচ্ছে, কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কিভাবে আমরা কৃষির জমি বাড়াতে পারি, এবিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে।     

তিনি বলেন, কৃষি সেক্টরে আমাদের অবশ্যই নজর দিতে হবে। বীজে সমস্যা রয়েছে। এটি একটি বিরাট সমস্যা। কৃষকের বীজের সমস্যা সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা যায়। আমাদের ৩১ দফার মধ্যে এব্যাপারে কথা রেখেছি।

কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়