বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাগভাজন হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদপুত্র সোহেল তাজ। ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা, অন্যায়গুলো মেনে নিয়ে জি হুজুর বলে থাকার মানুষ না তিনি। চূড়ান্ত প্রতিবাদ হিসেবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাজপুত্র সোহেল।
সেখানে তিনি নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। সোহেল তাজ বলেন, ‘পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে নিজে জমা দিয়েছি। পরের দিন আমাকে জোর করে যমুনায় নিয়ে যাওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, তাই যমুনায় আমাকে নিয়ে গেলেন।
তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ ভাই এসে বললেন নেত্রী কথা বলবেন। আমি যেতে চাইনি। বলেছি পদত্যাগপত্র দিয়েছি, আমি যাব না। আমি তাকে অসম্মান করতে চাইনি।
এ অবস্থায় আমাকে সৈয়দ আশরাফ বললেন, সোহেল চলো চলো। আশরাফ ভাইয়ের কথায় রাজি হলাম। আমি ভাবলাম তিনি হয়তো আমাকে বলবেন, জিজ্ঞেস করবেন, কেন তুমি পদত্যাগটা করছ? হয়তো আমার থেকে জানতে চাইবেন এবং অ্যাড্রেস করবেন ইস্যুগুলো।’
তিনি বলেন, ‘আমি গেলাম এবং দেখলাম সাজেদা চৌধুরী, শামসুল হক টুকু, আশরাফ ভাই, ফিজার সাহেব। সবাই বসে আছেন, খোশগল্প করছেন।
পাঁচ মিনিট চলে গেল, দশ মিনিট চলে গেল, আমি বসে আছি তারা খোশগল্প করছেন। তখন আমার রিয়েলাইজেশন হলো এটা আমাকে বোঝাবার কিছু না। এটা হচ্ছে জনগণকে একটা মেসেজ দেওয়া- সোহেলকে ম্যানেজ করা হয়েছে এবং সব কিছু ঠিকঠাক।’ উৎস: কালের কণ্ঠ।
আপনার মতামত লিখুন :