শিরোনাম
◈ ৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন ◈ ৯ বছর পর পাকিস্তান গেলেন ভারতের কোনো মন্ত্রী ◈ ওএসডি কর্মকর্তারা কী করেন? ওএসডি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতিবছর সরকারকে গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ◈ শেষ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা হাতে ছিল মাত্র সাড়ে ২৮ হাজার টাকা, ১৫ বছরই আয় করেছেন সুদ থেকে  ◈ আবহাওয়া নিয়ে  দুঃসংবাদ:  লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির আভাস ◈ আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, থাপ্পড় দিয়ে দিয়ে পুলিশে দেব; আইনজীবীকে বিচারপতি! (ভিডিও) ◈ যে কারনে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত ◈ সালমানকে প্রাণ বাঁচাতে ক্ষমা চাওয়ার উপদেশ দিলেন বিজেপি এমপি ! ◈ ৪৩তম বিসিএস: ২০৬৪ জনকে নিয়োগ, স্থগিত ৯৯ জনের ◈ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির ৩টি কমিটি 

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০৬ রাত
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই হবে : আওয়ামী লীগ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন নির্দেশনাকে ‘দায়মুক্তি’ বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলটি বলছে, ‘জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইনডেমনিটি বাতিল করে; সকল হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী, অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ভ্যারিফাই ফেসবুকে পোস্ট করা বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয় ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কাউকে হয়রানি করা হবে না।

আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৫ আগস্টের খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি খন্দকার মোশতাক। জনগণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মহান জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ইনশা আল্লাহ খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না আবারও বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইউনূসের ইনডেমনিটি বাতিল করে সকল হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’

সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, এর মানে হলো যারা হাজার হাজার পুলিশ হত্যা করেছে, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছে, অনেককে আজীবনের জন্য পঙ্গু করেছে, লক্ষ কোটি টাকার জনগণের সম্পদের ক্ষতি করেছে, তাঁদের সকল অপকর্মের জন্য দায়মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার বন্ধে খন্দকার মোশতাকের দেওয়া ইনডেমনিটির সঙ্গে তুলনা করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। যদিও দলটি ক্ষমতায় থাকতে ওই ইনডেমনিটির জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দায়ী করা হতো। জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতারা বক্তব্য দিতেন।

চলতি মাসের ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্যারিফাই ফেসবুকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল সেখানে শেখ হাসিনাকে দলীয় সভাপতি হিসেবেই সম্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে দলীয় সভাপতি বলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও বলা হয়েছে।

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ করিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার পর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ড. ইউনূস ও তার পরিষদ হত্যাকারী ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী, চক্রান্তকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ জুলাই থেকে যে সকল হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ সংগঠিত হয় সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন এবং জাতিসংঘের কাছে উন্নত প্রযুক্তিসহ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুডিশিয়াল কমিটির তদন্ত স্থগিত করে দিয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর কারণ সহজে অনুমেয় যে ইউনূস চান না জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত যত ধরনের অপরাধ হয়েছে তার বিচার হোক, এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের চিহ্নিত করা হোক এবং এদের দোষী প্রমাণিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অংশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এর মানে হলো আন্দোলনের সময় যত হত্যা হয়েছে তা প্রি-প্লানিংয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। যারা এই কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে এবং ৫ আগস্ট থেকে হাজার হাজার মানুষকে, পুলিশকে হত্যা করেছে তাঁরা চিহ্নিত হোক ও বিচারের মুখোমুখি হোক তা ইউনূস চান না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেওয়ার মাধ্যমে বিনা তদন্তে ও বিনা বিচারে ক্ষমা করে দিয়েছেন একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর সহযোগীরাও এসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাই প্রমাণিত হয়। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়