শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহন ২২ অক্টোবর

  
এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক : সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার নয় নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক প্রদীপ কুমার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামালার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। এ দিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। আদালতে কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। 

আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৯ মার্চ , ২০২৩ইং তারিখে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। 

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে এবং ২০০৮ সালের ৫ই মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। বাকিরা হলেন– বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা করে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়