শিরোনাম
◈ ২ দিন আগে কি ছিল, এখন হাজার কোটি টাকার মালিক : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন (ভিডিও) ◈ ঢাবি শিবির সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি হয় ৯ দফা : সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের স্ট্যাটাস ◈ এবার লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা ◈ যে কারনে কিছু মানুষের প্রতি হজ না করার অনুরোধ সৌদির ◈ শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে মার্কসবাদী দিসানায়েকে ◈ দিল্লির জনগণের মধ্যেই থাকবেন কেজরিওয়াল, নেই নিজের কোনো বাড়ি ◈ চীনের সেই 'সুন্দরী গর্ভনর' এর অবশেষে ঠাঁই হলো কারাগারে ! ◈ বাংলাদেশে সংস্কার, বন্যা পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাতিসংঘের ◈ ভারতের সঙ্গে নীরবতা-নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ: রিজওয়ানা হাসান ◈ নারায়ণগঞ্জে বাস টার্মিনালের দখল নিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৫৫ সকাল
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘১৬ মাসের বাচ্চা ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কেউ খোঁজ নেয় না’

তিন সন্তানের জননী উম্মে হানি সেতু। ছোট বাচ্চাটার বয়স ১৬ মাস। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কখনো ঢাকায় থাকেন, কখনো-বা চট্টগ্রামে।

মূলত তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তিন সন্তানের কাউকেই তিনি সঙ্গে রাখতে পারছেন না। দলের কেউ খোঁজও রাখছেন না সন্তানদের।
জেলা যুবলীগের ওই নেত্রী এসব বলে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

সম্প্রতি একটি ভয়েস রেকর্ডে তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই ভয়েস রেকর্ডটি অনেকের মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কোনো মেসেঞ্জার গ্রুপে তিনি ওই ভয়েস রেকর্ডটি দেন।
 
উম্মে হানি সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার ভয়েস রেকর্ডটি শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদকের কাছে আসে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনো ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা করে তাকিয়েছে, কেন তাকিয়েছে, সেটাও বুঝি।

দেখতে যথেষ্ট সুন্দরীই, বিশ্রী তো আর না! কোন নেতা কোন দৃষ্টিতে তাকিয়েছে, তারা কখনোই বোনের সম্মান দেয়নি।’ 
 
ভয়েস রেকর্ডে প্রথমেই নিজের পরিচয় দেন উম্মে হানি সেতু। বলতে শোনা যায়, ‘আমার নামে তিনটি মামলা করা হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন মামলা খেয়েছি। অনেক সিনিয়র নেত্রী আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আমি মামলা খেয়ে অনেক কষ্ট করতেছি, উনারা ভালো থাকুক। উনারা মামলা খেলে উনাদের কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, উনাদের ঘরে কোনো ছোট বাচ্চা নাই। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে। ওই বাচ্চাটাকে ফেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পড়ে আছি। একটা মানুষ আমার বাসায় খবর নেয় না, আমার ছোট তিনটা বাচ্চা কী খায়। বাচ্চাগুলো কী করে, বাড়িতে বাজার আছে কি না, তা ফোন দিয়ে খবর নেয়নি।’

উম্মে হানি সেতু ক্ষোভ প্রকাশ করে ভয়েস রেকর্ডে উল্লেখ করেন, আন্দোলন চলাকালেও তারা যথেষ্ট সাপোর্ট পাননি। প্রাকৃতিক কাজ সারতে এক নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখেন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে খাচ্ছেন। অথচ উনিসহ সঙ্গে থাকাদের একবারের জন্যও বলেননি আন্দোলনের কী অবস্থা কিংবা কেউ খাবে কিনা। রবং অনেকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়