শিরোনাম
◈ মানুষের সংস্কার না হলে, সংবিধান কেন, কোনো সংস্কারেরই সুফল হবে না : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  উপদেষ্টা ◈ তুমি মালিঙ্গা হয়ে গেলে নাকি, সাকিবকে বললেন বিরাট কোহলি ◈ অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিলেন ◈ বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, প্রেমিক পালালেন দেশ ছেড়ে  ◈ দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে এলেন ঢাবি শিবির সভাপতি ◈ চট্টগ্রামে দখল নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ:  বিলুপ্ত মহানগর যুবদলের কমিটি, বহিষ্কার ২ ◈ বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টে: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা ◈ সহিংসতায় উত্তাল পাহাড়, অশান্তির নেপথ্যে কী ◈ রাজধানীতে পর্বতারোহী শায়লা বিথীর ওপর হামলা ◈ বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম, ইতিহাসে প্রথমবার ২৬০০ ডলার ছাড়ালো সোনার আউন্স

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে : জি এম কাদের

শাহীন খন্দকারঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান  বলেছেন, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে। বাংলাদেশের সংবিধানে সরকার প্রধানকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়।

এতে ভালো নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতা অপর‌্যবহার করে দানবে পরিণত হয়ে যায়। আমরা মনে করি, ভালো নির্বাচনের আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। তবেই, ভালো নির্বাচনের পর ভালো সরকার পাওয়া যাবে। আমরা চাই, দেশের মালিকানা যেনো সাধারণ মানুষের হাতে থাকে।

জি এম কাদের বলেন,  সাধারণ মানুষ যেনো ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে সাধারণ মানুষের কাছে। সরকার যদি জনগণের ইচ্ছের বাইরে দেশ পরিচালনা করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে যেনো সাধারণ জনগণই আবারো ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করতে পারে। 

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর)  জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। 

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী রাজনীতি করেছে। জনগণের পক্ষে থেকেই জানগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি। 

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জণ করেছিলো। তখন আওয়ামী লীগ সরকার পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে আটক করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। তখন আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়। আমি নিজেও ২০১৪ সালের নির্বাচন করিনি, সংসদে যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপ দিয়ে আমাদের নেতাকে নিজস্ব রাজনীতি করতে বাঁধা দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। আবার, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিলো। বিএনপির সংসদ সদস্যরা প্রায় চার বছর সংসদে থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। সবাই জানে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো।

জাতীয় পার্টিকে দুটি ভাগ করে রেখেছিলো সরকার। একটি ঠুনকো মামলার আদেশে প্রায় চার মাস আমাকে দল পরিচালনা থেকে বিরত রেখেছে। আমাদের দলের পরিচয়ে সরকার আরেকটি গ্রুপকে কাউন্সিল করতে দিয়েছিলো। আমাদের রাজনীতি ও দল পরিচালনায় অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলো আওয়ামী লীগ। 

জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব বীর মুত্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, এ্যাড. বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিনসহ অনেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়