শিরোনাম
◈ পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৩৭ কর্মকর্তাকে র‍্যাংকব্যাজ পরালেন ডিএমপি কমিশনার ◈ ১৪ মামলার আসামি, চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি ‘ট্যারা সোহেল’সহ গ্রেফতার ৩  ◈ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ নারী দলের একধাপ অবনমন  ◈ শৈলকুপায় মসজিদে জুতা চুরি নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জন আহত ◈ এ বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে: রয়টার্সকে নাহিদ ◈ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর কারও এখতিয়ার নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পাকিস্তান কাশ্মীরের একাংশ ‘চুরি করেছে’, ফেরাতে চায় ভারত! ◈ চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন যারা ◈ হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি ◈ এনআইডি ইসিতে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে : সিইসি

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে : জিএম কাদের

খন্দকার দেলোয়ার জালালী : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে। বাংলাদেশের সংবিধানে সরকার প্রধানকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়। এতে ভালো নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতা অপব্যবহার করে দানবে পরিণত হয়ে যায়। আমরা মনে করি, ভালো নির্বাচনের আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। তবেই, ভালো নির্বাচনের পর ভালো সরকার পাওয়া যাবে। আমরা চাই, দেশের মালিকানা যেনো সাধারণ মানুষের হাতে থাকে। সাধারণ মানুষ যেনো ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে সাধারণ মানুষের কাছে। সরকার যদি জনগণের ইচ্ছের বাইরে দেশ পরিচালনা করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে যেনো সাধারণ জনগণই আবারো ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করতে পারে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী রাজনীতি করেছে। জনগণের পক্ষে থেকেই জানগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জণ করেছিলো। তখন আওয়ামী লীগ সরকার পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে আটক করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই।

তখন আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়। আমি নিজেও ২০১৪ সালের নির্বাচন করিনি, সংসদে যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপ দিয়ে আমাদের নেতাকে নিজস্ব রাজনীতি করতে বাঁধা দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। 

আবার, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিলো। বিএনপির সংসদ সদস্যরা প্রায় চার বছর সংসদে থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। সবাই জানে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। জাতীয় পার্টিকে দুটি ভাগ করে রেখেছিলো সরকার। একটি ঠুনকো মামলার আদেশে প্রায় চার মাস আমাকে দল পরিচালনা থেকে বিরত রেখেছে। আমাদের দলের পরিচয়ে সরকার আরেকটি গ্রুপকে কাউন্সিল করতে দিয়েছিলো। আমাদের রাজনীতি ও দল পরিচালনায় অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলো আওয়ামী লীগ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়