শিরোনাম
◈ দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, ইনজুরি টাইমে ভারতের কাছে হেরে গেলো ◈ লিটন দাস আউট হওয়ায় তামিমের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন হার্শা ভোগলে ও কার্তিক ◈ ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনই ছাত্রলীগের আটক ছয়জনের মধ্যে ! ◈ ভারতের মণিপুরে প্রতিবেশী দেশ থেকে ঢুকে পড়েছে ৯০০ যোদ্ধা, জানালেন কুলদীপ সিং ◈ ভারতে ‘উদ্বাস্তু’ শেখ হাসিনা, হস্তান্তর নিয়ে নানা মত ! ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরসহ আশপাশ হর্ন মুক্ত ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা ◈ ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার দায় স্বীকার ৬ শিক্ষার্থীর ◈ জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বাগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস ◈ ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে মডেল আভা লুইস পরনের টপ তুলে বক্ষযুগল প্রদর্শন ! ◈ ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস, ৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১৪ রাত
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে ‘উদ্বাস্তু’ শেখ হাসিনা, হস্তান্তর নিয়ে নানা মত !

এম এইচ বাচ্চু : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক গণ-বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) হবে তার ৪৫ দিন। শেখ হাসিনার কাছে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইতোমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে কাল থেকে দেশটিতে থাকার আর কোনো বৈধ অনুমোদন তার কাছে থাকছে না। শুক্রবার থেকে ভারতে 'উদ্বাস্তু' শেখ হাসিনা। দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি এখন জোরালো হচ্ছে।

ভারত কি হাসিনাকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে? উত্তর হলো ‘না’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জি নিউজকে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর বদলে হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামার মতো হয়ত বিশেষ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। যিনি ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছেন। ভারত যেহেতু হাসিনাকে ফেরত দেবে না এবং সেখানে থাকার জন্য তার কোনো বৈধ অনুমোদনও থাকবে না তাই কাল থেকে তিনি দেশটিতে ‘উদ্বাস্তু’ হয়ে পড়ছেন।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানোর পর এই দাবিটি সুনির্দিষ্ট আইনি রূপ নিয়েছে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে শুরু করে গুমসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে।

ভারতের কোথায় অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, 

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা। তাকে তার দলবল নিয়ে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে। এ ছাড়া খবরে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতীয় সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; তিনি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে থাকছেন।  

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এই সংবাদ সম্মেলন করেন আইন উপদেষ্টা।

বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (প্রত্যর্পণ চুক্তি) আছে। এটি অনুযায়ী ভারতে যদি আমাদের কোনো কনভিক্টেড (দোষী) মানুষ থাকেন, উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোন আর যাই হোন না কেন, ওনার এক্সট্রাডিশন বা প্রত্যর্পণ আমরা চাইতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকালে যে গণহত্যা ঘটেছে, যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, সেটি বিচারের লক্ষ্যে আমরা কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নিয়েছি। দৃশ্যমান কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম, প্রসিকিউশন টিম গঠন হয়ে গেছে। আদালত পুনর্গঠনের চিন্তা চলছে। অচিরেই আপনারা দেখবেন বিচার শুরু হয়েছে। বিচার শুরু হওয়ার পর ডেফিনিটলি আমরা এক্সট্রাডিশন চাইব।

বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানায়, তখন নয়াদিল্লির আইনি উপায় কী হবে- এ নিয়ে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন।

নিবন্ধে প্রভাষ রঞ্জন বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন-১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখ-ে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য; যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদ-ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আদালতে এখনও দোষী প্রমাণিত না হলেও হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। ভারত থেকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাকে এসব অপরাধে অভিযুক্ত করাই যথেষ্ট। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০(৩)-এর আওতায় প্রত্যর্পণ চাওয়ার জন্য অনুরোধকারী রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও যথেষ্ট।

এ ক্ষেত্রে অনুরোধ জানানো রাষ্ট্রের কাছে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার দরকার নেই। ২০১৬ সালে চুক্তিতে আনা একটি সংশোধনীর কারণে এটির দরকার নেই। তবে মূল চুক্তিতে অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো দেশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ অন্যান্য প্রমাণ শেয়ার করার শর্ত ছিল। অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ ত্বরান্বিত করার জন্য ২০১৬ সালে অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়।

যে কারণে বাংলাদেশ এ ধরনের অনুরোধ করলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ভারতের। তবে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম বিধানও রয়েছে।

প্রথমত, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে অপরাধী ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক নেতা হন, তাহলে তার প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। আবার ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ৩১(১) ধারায় রাজনৈতিক ছাড়ের বিধান রয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ভারত কি এসব বিধানের ওপর নির্ভর করতে পারে? এর জবাব হলো, না। কারণ চুক্তির ৬(২) ধারায় বিশেষভাবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের মতো অপরাধকে বাদ দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক আইন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

দ্বিতীয়ত, যদি সেই ব্যক্তির প্রত্যর্পণ অপরাধের দায়ে আদালতে বিচার করা হয়, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দিয়েছে অনুচ্ছেদ ৭। এই বিধানটি হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ, তিনি ভারতীয় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।

তৃতীয়ত, চুক্তির অনুচ্ছেদ ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি প্রত্যপর্ণের জন্য অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে বোঝাতে পারেন যে, তাকে হস্তান্তর করা হলে দেশে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না এবং তাকে প্রত্যর্পণ করাটা নিপীড়নমূলক হবে, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। কারণ, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে’ করা হয়নি বলে জানাতে পারবে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র।

একই নীতি ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ২৯ ধারায় প্রতিফলিত হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। যে পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা করছেন, তাতে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক শত্রুতার দ্বারা প্রভাবিত। যদি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং, তার প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক এবং অন্যায্য।

এই ব্যাখ্যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। যারা দাবি করবে, শেখ হাসিনাকে তার স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জবাবদিহি করা হবে ন্যায়বিচারের স্বার্থেই। কোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা কার ব্যাখ্যা সঠিক, তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারা অনুযায়ী, উভয়পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় অটল থাকতে পারে।

ভারতের সামনে আরেকটি আইনি বিকল্প আছে। তবে সেটি হবে কঠিন। চুক্তির ২১(৩) ধারায় ভারতকে যেকোনো সময় নোটিশ দিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস পর চুক্তিটি আর কার্যকর থাকবে না। এ ছাড়া চুক্তি বাতিলের আগে করা প্রত্যর্পণের অনুরোধের প্রক্রিয়া করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু বলা হয়নি।

ভারত এই বিকল্প ব্যবহার করবে কি না, তা নির্ভর করবে দেশটি শেখ হাসিনাকে কতটা মূল্য দেয় তার ওপর; যিনি নয়াদিল্লির ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চায়। একতরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করলে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে; যা ভারতের বিভিন্ন কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।

দিনশেষে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আহ্বান এখন আইনি বিষয়ের চেয়ে অনেকটা রাজনৈতিক হয়ে গেছে। তবে ভারত যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, তাদের রাজনৈতিক চাহিদা পূরণ এবং যেকোনো সিদ্ধান্তের ন্যায্যতার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের ভাষাকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, গণবিপ্লবের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে লঙ্কান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে তাকে শেখ হাসিনা ইস্যু ও বাংলাদেশ-ভারতের করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে, মানুষকে প্রথমে আস্থা দিতে হবে। শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক নেতা নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। এরপর তারা বিদেশেই থাকেন। আমি এখন প্রাধান্য দেব, বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল থাকে।

বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, যদি হাসিনা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে তাকে বাইরেই থাকতে দিন। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়