শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল

জেলা প্রতিনিধিঠাকুরগাঁও : সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা ভালো কথা। তার মানে হলো, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেসব এলাকাতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া দরকার। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকার সব জঞ্জাল দূর করে দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে সুষ্ঠু উপায়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই। আমি জানি আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমি এই কথাগুলো উচ্চারণ করছি।’ 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে সবার সমর্থনে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের অপরাধগুলোর বিচার করতে। এই অপরাধের  মূল হোতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েক দিনে তো গেছেই, তারও আগে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই অত্যাচার। বিএনপির সাত শর বেশি মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, যারা কোনো দিন আদালতের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত দেখেননি; তাদের নিয়মিত আদালতে যেতে হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে আদালতে যেতে যেতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’ 

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়