শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাবিতে শিক্ষার্থীদের গণপিটুনির শিকার  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা ◈ বিদেশে ‘সরানো’ দুই লাখ কোটি টাকার খোঁজে বাংলাদেশ : ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন ◈ আলজাজিরার অনুসন্ধান : যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার কোটির সম্পত্তি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন ৭ জন, আগে যেতেন ১৫০-২০০ : বড় ব্যতিক্রম ◈ চীন অত্যাধুনিক হেলিপোর্ট বানাচ্ছে অরুণাচল সীমান্তের কাছে, চাপে ভারত

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আ. লীগের তিন নেতা তিন দেশে

এম এইচ বাচ্চু : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিদেশ চলে গেছেন। বিদেশে অনেকে নিজ বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কেউ ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন। কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যারা ধরা দিয়েছেন তাদেরকে জেলে যেতে হচ্ছে। ভারতের দিল্লিতে গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ ও শামীম ওসমান তিন নেতা তিন দেশে অবস্থান করছেন। এটা অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গ্রেপ্তার হন বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর কয়েক দিন পর জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের হদিস পাওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে লিখেছেন ড. হাছান মাহমুদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন সে বিষয় নিয়ে চলছে আলোচনা।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাছান মাহমুদ এখন বেলজিয়ামের লিমবুর্গ প্রদেশের হ্যাসেল্ট সিটিতে তাঁর নিজের বাড়িতেই আছেন। দুবাই হয়ে জার্মানিতে যান তিনি। জার্মান শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনিই ড. হাছান মাহমুদকে ডসেলড্রপ বিমানবন্দর থেকে বেলজিয়ামের বাড়িতে পৌঁছে দেন।

মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল জানান, গত ২৬ আগস্ট বিকেল পৌনে ৩টায় জার্মানির ডসেলড্রপ বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। সেখান থেকে সড়কপথে বেলজিয়ামের নিজ বাড়িতে যান। বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি এইখানে আছেন এবং সেভ আছেন, এইটুকু আর কি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালালে ওসমান পরিবারের সদস্যদের আর দেখা পাওয়া যায়নি। শামীম ওসমান ও তার স্বজনরা দেশে নাকি বাইরে আছেন তা নিয়েও ছিল আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে দেখা মিলল সাবেক এ সংসদ সদস্যের।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শামীম ওসমানকে ভারতের দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখা গেছে। ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আকাশ হক তাকে মাজারে দেখেছেন। রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামীম ওসমানের ছবি তুলেছেন তিনি।

ছবিতে দেখা গেছে, শামীম ওসমান গাঢ় গোলাপি রঙের হাফ হাতা একটি শার্ট ও ছাই রঙের একটি প্যান্ট পড়ে মাজারের মূল বেদির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

পোস্টে আকাশ লিখেছেন, ‘শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার সামনে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবারে দাঁড়িয়ে আছেন। ভালো মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করবো কিনা ভাবতেছি। আবার কবে দেখা হয়- না হয় কে জানে?’
আকাশ হক গণমাধ্যমটিকে জানান, রাতে তিনি দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যান। এ সময় তিনি শামীম ওসমানকে দেখতে পান। শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। প্রমাণস্বরুপ তিনি ছবিও তুলে রেখেছেন বলে জানান।

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায়। জানা গেছে, শেখ হাসিনার একদিন আগেই দেশ ছেড়েছেন ওবায়দুল কাদের।

জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে প্রতিদিন মিডিয়ার সামনে কথা বললেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে মিডিয়ায় কথা কম বলতে দেখা যায় তাকে।

৩ আগস্ট ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেষবারের মতো কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও দেখা যায়নি।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুর গেছেন ওবায়দুল কাদের। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, ওবায়দুল কাদের বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হবার পর থেকেই, এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ওবায়দুলর কাদের। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কঠোর অবস্থান নেয়ার হুশিয়ারিও দিতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি গণভবনে সবশেষ বৈঠক থেকে বেরিয়ে কারফিউ জারি ও দেখা মাত্র গুলির সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।

গত  আগস্ট নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে যখন আগুন দেয়া হয়, তখন তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্যই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়