শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে , যা লেখা আছে ◈ ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে বিদেশযাত্রার অনুমতি পেলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ◈ ৬ অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ চাঞ্চল্যকর ঘটনা: ১০০ টাকার বিনিময়ে শরিফা সেজে আদালতে শারমিন ◈ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে ১০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে আইসিসি ◈ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বন্ধ করলো নারী ক্রিকেটারদের ভাতা  ◈ এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনার আছে ২২টি এফডিআর, জমা পৌনে ৩ কোটি টাকা ! ◈ ভ্রমণে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশির ◈ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা থেকে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত আটক (ভিডিও) ◈ এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে এসেছেন ৫০ লাখ মুসল্লি

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেষ বৈঠকে হাসিনা এবং কোটি কোটি টাকা !

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিনও গণভবনে কোটি কোটি টাকা ছিল। কয়েকজন কর্মকর্তা এই টাকার দায়িত্বে ছিলেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র  দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৪ঠা আগস্ট রাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক নেতা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সময় টাকা বিলি-বণ্টন করা হয় । সর্বশেষ বৈঠকটি হয় তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পাঁচজন নেতা ও কর্মকর্তার সঙ্গে। সূত্র : দৈনিক মানবজমিন

এর মধ্যে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এছাড়া ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল। সেই বৈঠকে হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বলেন, আর অপেক্ষা নয়। আর আপস নয়।

নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হবে। বৈঠকে যোগ দেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা জানতে পেরেছে, বৈঠকে আইজিপি জানান, পুলিশের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে গুলির সংকট, অন্যদিকে জন-উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গুলি করেও থামানো যাচ্ছে না। যদিও এ সময় শেখ হাসিনা আইজিপির প্রশংসা করেন। তবে সবার কথা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, তোমাদের দিয়ে কিছু হবে না।

আমি সেনাবাহিনীকে বলবো গুলি করতে। কারফিউ আরও কঠিন করতে। সেনাবাহিনীর তরফে আগেই জানানো হয়েছে কোনো অবস্থাতেই তারা গুলি করবে না। হাসিনা এটা শোনার পর কোনো একজন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমি তোমাদের জন্য কী না করেছি! তোমরা এখন সবাই গা বাঁচানোর চেষ্টা করছো। যা করার আমিই করবো। হাসিনা তখন আরও বলেন, সেনাবাহিনী মার্শাল ল’ দিচ্ছে না কেন। তাহলেই তো পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা এটাও জানতে পেরেছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন  মার্শাল ল’র পক্ষে তাদের সায় নেই। মার্শাল ল’ দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাছাড়া  বিশ্ব পরিস্থিতিও মার্শাল ল’র অনুকূলে নয়। এখানেই বৈঠক শেষ হয়ে যায়।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আন্দোলনকে বিপথগামী করতে টাকা ছড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। তখন গণভবনে গচ্ছিত টাকা দেয়া হয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। পরদিন পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এই সময় গণভবনে লুট হয়। লুটকারীরা টাকাও নিয়ে যায়। তবে কত কোটি টাকা ছিল জানা সম্ভব হয়নি। পঞ্চান্ন লাখ টাকা উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর হাতে দেয় জনতা।     

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়