শিরোনাম
◈ কাজে ফিরতে চান শ্রমিকরা, উস্কানিতে তৃতীয় পক্ষ ◈ যেসব মামলা হচ্ছে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া না গেলে বাদ যাবে নাম : পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা ◈ বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন ◈ আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জন, গুলিতে মৃত্যু বেশি : এইচআরএসএস ◈ যাত্রাবাড়ীতে ট্রাফিক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত ◈ কক্সবাজারে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস-মারধর করল যুবক, উল্লাস জনতার ◈ গ্রেফতার হওয়ার পরে যা বলেছিলেন ফারাজ করিমের বাবা (ভিডিও) ◈ খেলার জগৎ নয়, আমাকে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরবে চালু হলো ই-পাসপোর্ট ◈ গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে স্থানীয়দের হামলা, আহত ৩০ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেউ চান দ্রুত নির্বাচন, কেউ সময় দিতে চান, সংস্কার প্রশ্নে একমত

এম এইচ বাচ্চু : দেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। সংস্কার প্রশ্নে একমত রাজনীতিবিদরা। তবে সংস্কার শেষে কবে? কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করতে চান, দ্রুততম সময়ে সেটার একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় রাজনীতিবিদরা।

অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। 

দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি বলেছে, এই ভাষণে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে তারা। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা সংস্কারের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এ সরকারকে সময় দেওয়ার কথা বলছে।

নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংলাপের আশা করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনির্বাচিত একটি সরকারের কয়েকজন ব্যক্তি মিলে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ করে ফেলবেন, এমনটা তিনি বিশ্বাস করছেন না। মির্জা ফখরুল অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে নির্বাচন নিয়ে ‘অতি দ্রুত’ আলোচনা চেয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কী করতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ে রোডম্যাপও চেয়েছেন।

১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রত্যাশা, অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করেছে। মোট কথা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আমরা চাই, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার এই সংস্থাগুলোর সংস্কার করবে। জনগণ জানে এই সংস্থাগুলো সংস্কার করতে কত দিন সময় লাগবে। অন্তর্র্বতী সরকার সেই সময় নিয়ে জনগণের সামনে একটি রোডম্যাপ তুলে ধরবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। কারণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সময় লাগবে। অন্তর্র্বতী সরকার জনগণের সরকার এবং বিপ্লবী সরকার উল্লেখ করে অনেকে এই সরকারকে ফেলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই প্রবীন নেতা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ইসলামের আদর্শ বাস্তবায়ন যেখানে হয়েছে, সেখানে শান্তি এসেছে। কোন স্বার্থের বিনিময়ে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ কখনোই বিক্রি হইনি। জাতীয় নির্বাচনে অনেক লোভ দেখানো হয়েছিলো। কিন্তু কোনো লোভে পা দেয় নাই এ দলটি। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে চক্রান্তকারীদের কোনো জায়গা হবে না। অন্তর্র্বতী সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, ভালো কাজে সহযোগিতা করা হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অন্তর্র্বতী সরকারে যারা আছেন, তাদের প্রতি আমরা আস্থা রাখতে চাই। এ সরকারে যারা আছেন, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই, তারা কেউ রাজনীতিবিদ নন। তাই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে কতটা মোকাবিলা করতে পারেন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। তাই আমাদের সমর্থন নিরঙ্কুশ না হলেও সমর্থনটা চালিয়ে যেতে চাই। যত দিন রাষ্ট্র সংস্কারে সময় লাগে, তত দিন আমরা সমর্থন রাখতে চাই।

অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে যে রূপকল্পের কথা বলা হয়েছে, সেটাও দ্রুত জাতির সামনে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়