শিরোনাম
◈ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি ◈ আসছে বছর খেলাপি ঋণ ছাড়াতে পারে পাঁচ লাখ কোটি টাকা ◈ বঙ্গবাজারে অগ্নিসংযোগ, তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ◈ (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ যে দোয়া ‘জান্নাতের গুপ্তধন’ ◈ সর্বকালের সেরা ধনী ইলন মাস্ক: ফোর্বসের দাবি ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: আন্দালিভ রহমান পার্থ ◈ আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? ◈ সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:২৫ রাত
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতি সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছুড়লেও শেষ হতে লাগবে ৫ বছর, বলেছিলেন আরাফাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তখন সারা দেশ ছিল উত্তাল। সেই আন্দোলনে মারা যায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী। একপর্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার জনতা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তখনও বল প্রয়োগ করে যাচ্ছিল সেই সময়ের স্বৈরাচারী।

পুলিশ বাহিনীকে গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রমাণ যাত্রাবাড়ি, চাঁনখারপুল, উত্তরা, মিরপুর-১০, রংপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে নানা হুমিকি-ধামকিতে ব্যস্ত ছিলেন স্বৈর-সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মধ্যে তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে।’ সেই আরাফাত আটক হয়েছেন মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে আরাফাতকে আটক করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আরাফাত বেশ কিছু মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। কী ছিল তার সেসব বক্তব্যে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালাচ্ছিল, তখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে—রাবার বুলেটের যোগান শেষ হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিষ্ঠিত এই কথাকে নাকচ করে দিয়ে ২১ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে বলেছিলেন, ‘সরকার যদি প্রত্যেক সেকেন্ডে রাবার বুলেট ছোড়ে, তারপরও পাঁচ বছর লাগবে শেষ হতে; এতো স্টোরেজে আছে, বলে দিচ্ছি আপনাদের (সাংবাদিকদের)।’

১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনে পুলিশের গুলির সামনে দুই হাত প্রসারিত করে নিজের বুক পেতে দেন আবু সাঈদ। পরে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদের আইকনে পরিণত হন তিনি। তারপর থেকে প্রতিটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে জনতা যোগ দিয়ে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। নড়ে ওঠে স্বৈরশাসকের মসনদ।

২২ জুলাই। তখন আন্দোলন তুঙ্গে। এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। ওই বৈঠকে নিহত আবু সাঈদ প্রসঙ্গকে পরোক্ষভাবে তুলে ধরে আরাফাত বলেন, ‘প্রমাণও পাওয়া গেছে, আন্দোলনকারীদের অনেকে, দে ওয়ার ড্রাগড। তাদের ড্রাগ করা হয়েছে। যেন তারা বুক পেতে পুলিশের সামনে চলে আসতে পারে।’

পরে এই আরাফাতই বলেছিলেন, আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে। তারা যে দাবি করেছে, সরকারও সেই একই দাবিতে আগেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেছে।

অথচ যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ধীর পায়ে শান্তি বজায় রেখে এগোচ্ছিলেন, তখন তাদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে ১৩ জুলাই মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছিলেন, ‘ছাত্রদের যে দাবি—হাইহোর্টের রায় বাতিল করে আগের রায় বহাল রাখতে হবে, আদালতের রায়ে তা পূরণ হয়ে গেছে। এখন আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই।’ সূত্র : আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়