এম এম লিংকন: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, আবার শনির আখড়া এলাকায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার পরও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোল প্লাজায় আগুন ঐ বিএনপি-জামাত ছাড়া কেউ দিতে পারে না। সারাদেশে বিএনপি জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররাই তাণ্ডব চালাচ্ছে। এর সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই।
[৩] তিনি বলেন, ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সরকার কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছে। ছাত্রদল- শিবিরের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ছাত্রলীগ শুরু থেকেই ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। তারা আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু কোথাও আক্রমণকারী হয়নি।
[৪] বৃহস্পতিবার ( ১৮ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
[৫] ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, প্রথম থেকেই পুলিশ সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। যে কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি দিতে পেরেছে।
[৭] ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নারী শিক্ষার্থীদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আবাসিক হলে আগুন দিয়েছে।
[৮] তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত হামলা করে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে পলাতক দণ্ডিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান। লাশ ফেলে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে বিএনপি জামায়াত। খুব দ্রুত সময়ে এই ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচন হবে।
[৯] এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :