শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেছেন, বহিরাগত শিবির ও ছাত্রদলের চিহ্নিত ক্যাডারদের ক্যাম্পাসে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে ডয়চে ভেলের সঙ্গে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
[৩] তানভীর হাসান সৈকত বলেন, রোববার থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন ছিলো তা আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাই। সেটি এখন রাষ্ট্রবিরোধী ও বাংলাদেশবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এখানে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কটাক্ষ করে নিজেদের রাজাকার দাবি করা হচ্ছে। তারা গতকাল থেকে হলে হলে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করেছিলো, তা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা রুখে দিয়েছে। বুয়েট, ঢাকা কলেজসহ অনেক বহিরাগতদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং একই সাথে ছাত্রদল ও শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডারদেরকে নিয়ে এসে হলে ঢুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, এছাড়াও ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
[৪] ‘আপনাদের কতজন নেতা কর্মী আহত হয়েছে?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত বলেন, ‘আমাদের বলতে কি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরেই তো তারা হামলা করেছে। হলে ঢুকেইতো তারা মারতে শুরু করে। হলেতো ছাত্রলীগ, জেনারেল স্টুডেন্ট সবাই থাকে। আজ (সোমবার) সকাল থেকে ওরা হলে হলে ঢুকে হামলা করছে। একাত্তর হল, সূর্যসেন হল, জসিমউদ্দিন হল, এফ রহমান হল- এই সবগুলোতেই হামলা করা হয়েছে। তারপর সাধারণ ছাত্ররাই তাদেরকে ধাওয়া করেছে। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও আহত হয়েছে।
[৫] সৈকত বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এর বিচার চাই। আমাদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সংঘর্ষ নেই। বরং আমরা ছাত্রলীগ বলেছি, আমরা কোটার যৌক্তিক এবং অন্তর্ভূক্তিমুলক সমাধান চাই। আমরা যদি ওদেরকে বাধা প্রদান করাতাম, তাহলে শুরু থেকেই তা করতাম। আমরা তো বাধা প্রয়োগ করিনি। বরং তারা গতকাল যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটিয়েছে, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ঘটেনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :