রিয়াদ হাসান: [২] বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের নামে নিজেই নতুন প্রজন্মকে বিভক্তিকে উষ্কে দিয়েছেন। মুলতঃ সরকারের এমপি মন্ত্রী আমলা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে ইস্যু তৈরির অপচেষ্টা করছেন।
[৩] তারা বলেন, ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব খর্ব করেছেন। জনগণ যেন ভারতীয় আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করতে না পারে তাই ইস্যু দিয়ে ইস্যু চাপা দেয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
[৪] সোমবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
[৫] লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের ভোটাধিকার, নিরাপদ সড়কের অধিকার, চাকরির অধিকার, দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সাম্যের অধিকার নিয়ে যারাই কথা বলছেন বা বলতে চাচ্ছেন অথবা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিচ্ছেন তাদেরকে এক কথায় রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা মহান মুক্তিযদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।
[৬] তারা বলেন, প্রজন্মকে বিভক্ত করে ফায়দা লুটছেন কারা ? কারা দেশের ভবিষ্যতকে বিভক্ত করে দিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেতে চাচ্ছেন, কারা দেশটাকে শূন্যে পরিণত করে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছেন ? সূক্ষ্মভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছেন প্রকাশ্যে। কোন অপশক্তি সুযোগটা লুফে নিচ্ছে। সকল মনে রাখতে হবে, নেতৃত্বের বড় গুণ হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, ঐক্যবদ্ধ রাখা। বিভাজন সৃষ্টি করে জাতিকে দুর্বল করা নয়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :