শিরোনাম
◈ ‘ইজতেমার নিয়ন্ত্রণ’ নাকি ‘সাদ কান্দালভি’- তাবলীগ সংকটের কারণ আসলে কী ◈  আমরা কিংস পার্টি নই, আমরা কিংস মেকার:  হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি মুকুল গ্রেপ্তার ◈ অনলাইনে আয়কর পরিশোধে ফি বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ প্রায় অর্ধেক মানুষই জানে না তার ডায়াবেটিস ◈ তেজগাঁও থেকে বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করলো কাস্টমস ◈ আশা করি নতুন উপদেষ্টাদের কাজ দেখে বিচার করবেন বাংলাদেশের জনগণ : মাহফুজ আলম ◈ উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৫২ জেলায় পানির গুণগতমান পরীক্ষাগার, মিলবে বিশুদ্ধ পানি ◈ যে কারণে পুরুষের চার বিয়ে করার কথা বললেন এই অভিনেত্রী হীরা সুমরো ◈ এখনো রাস্তায় আহতরা, উপদেষ্টাদের হাজির হওয়ার আলটিমেটাম

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৫৬ রাত
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী: জি এম কাদের

শাহীন খন্দকার: [২] বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। সব সমাজের মানুষই বৈষম্য পছন্দ করে না। বৈষম্যময় সমাজকে সুষ্ঠু সমাজ বলা যায় না। বাঙালীরা বৃটিশ আমল থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলো। জাপা জেয়ারম্যান বলেন, বৈষম্য থেকে বাঁচতেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়েছিলো। পরবর্তীতে পাকিস্তানীরাও বাঙালীদের সাথে বৈষ্যম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই প্রথমে শুরু হলো স্বাধীকার আন্দোলন এবং পবরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম।

[৩] তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম শুধু বৈষম্য থেকেই বাঁচতে। স্বপ্ন ছিলো আমাদের একটি দেশ হবে, আমাদের দেশ হবে বৈষম্যহীন। যেখানে নির্যাতন-নিপিড়ন থাকবে না। সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে সংবিধান পরিপন্থি।

[৪.১] রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, বৈষম্য সৃষ্টি করতেই বাংলাকে পাকিস্তানীরা রাষ্ট্রভাষা করতে চায়নি। ভাষার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো তারা। উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালীরা যেনো সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকে। এই বৈষম্যের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ দিয়ে ছিলেন ,আমাদের ভাইয়েরা।

[৪.২] জি এম কাদের আরও বলেন, বৈষম্যহীন এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গড়তেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিলো। এমন অবস্থায় চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করে। সংবিধানে সাম্যের কারণে কিছু মানুষকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুযোগ দেয়ার কথা আছে। যারা পিছিয়ে আছে, তারা যেনো এগিয়ে যেতে পারে।

[৫.১] বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেয়া সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করা হয়েছিলো, এখন তা ৩-৪ গুণ বেশি করা হয়েছে। এটা নিয়ে বহু কন্ট্রোভার্সি আছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে করো বয়স ছিলো ২-৩ বছর আবার কারো জন্মই হয়নি তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

[৫.২] অনেকের মুক্তিযুদ্ধের অবদান নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু তারা বিভিন্ন কারনে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন দিয়েছেন, তাদের সন্তানরাও জীবন দিয়েছেন কিন্তু শিক্ষা ও রাজনৈতিক সচেতনতার কারনে তারা তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালিন সুবিধা দেয়া যেতে পারে কিন্তু তা অন্যকাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়।

[৬] যেখানে একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত তাকে বঞ্চিত করে অন্যকাউকে চাকরি দেয়াটা স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। বৃটিশরা ডিভাইড এন্ড রুল করে আমাদের নির্যাতন করেছে। বৃটিশদের হয়ে আমাদের দেশের সৈন্যরা এবং প্রশাসকরাই আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আমাদের দেশের রাজা-মহারাজারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে বৃটিশদের হয়ে। এখন একটি শাসক শ্রেণী তৈরী হয়েছে। তারা সুবিধাবাদি গোষ্ঠী তৈরী করতেই অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসকে/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়