রিয়াদ হাসান: [২] বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিটি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। উচ্চ আদালতের অযুহাত দিয়ে কোটা সংস্কারের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
[৩] রোববার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] সাইফুল হক বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি কোনো আইনি সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটা মূলগতভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এ কারণে ২০১৮ সালে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সরকার কোটাব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল।
[৫] তিনি বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্র তরুণেরা কেউই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা বলেনি, এখনও কেউ বলছেনা। দাবি হচ্ছে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসাথে পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটা ব্যবস্থাও প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন।
[৬] বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা যে প্রধান বিবেচনা এটা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। মেধা ও যোগ্যতাকে মানদণ্ড ধরে সমগ্র কোটাব্যবস্থার সংস্কার করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
[৭] সাইফুল হক আরও বলেন, ছাত্র তরুণ তথা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোনো সরকার ছাত্র তরুণদের আন্দোলনের মুখে এরকম নির্বিকার থাকতে পারে না। তিনি সরকার ও সরকারি দলকে জেদ, দম্ভ ও উন্নাসিকতা পরিহার করে দ্রুত কোটাব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসরুমে ফিরতে পারে।
[৮] একইসঙ্গে সাইফুল হক দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতিও নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া প্রত্যয় পেনশন স্কিম প্রত্যাহার করারও দাবি জানান। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :