রিয়াদ হাসান: [২] লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, দেশ ও প্রশাসন পুরাতন জমিদারি পন্থায় পরিচালিত হচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ঋণ দেওয়া হয়, যাকে ইচ্ছা ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়, যাকে ইচ্ছা দুর্নীতি করার পর টাকা পাচার করে, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সময় দেওয়া হয়। অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গরিব কৃষকদের সুদ মওকুফ করা হয় না।
[৩] রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] ড. কর্নেল অলি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই অবৈধ সরকারকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। অপরদিকে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল জরিমানা এবং হয়রানি করা হয়। নিঃসন্দেহে বলা যায়, অবৈধ সরকারই দুর্নীতি, টাকা পাচার, চোরাচালান ইত্যাদি লালন ও পালনকারী।
[৫] আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস হিসাবে কাজ করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধের পর প্রায় লক্ষাধিক পাকিস্তানি সেনা সদস্যের ফেলে যাওয়া সব অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার মেশিন ইত্যাদি ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার তখন একটি টু-শব্দ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি।
[৬] এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অবৈধ সরকারের কোন এম.ও.ইউ. স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নাই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। বিশেষ করে, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যে এম.ও.ইউ. স্বাক্ষর করেছে, তাতে দেশের জন্য অনেকগুলি ক্ষতিকর, সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের এবং জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বালাই নাই। তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার নির্বাসিত, মানবাধিকার পদদলিত।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং কোটা বিরোধীদের চলমান দুই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
[৮] এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :