শাহীন খন্দকার: [১] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[২] বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোটা পদ্ধতি বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ এর ১,২,৩ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সংবিধান সশোধন করে এটাকে বৈধ করতে পারবে না। মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত ২৯ এর ১,২,৩ ধারা পরিবর্তন করার ক্ষমতা সংবিধানে দেয়া হয়েনি। এদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।
[৩] শনিবার গাজীপুরের সাগরসৈকত কনভেনশন হলে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে এবং জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান মন্ডলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে বাঙালীরা ভুমিকা রেখেছে শুধু বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে। পরবর্তীতে পাকিস্তানীরাও আমাদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানীরা আমাদের দারিদ্রসীমার নিচে থাকতে বাধ্য করেছিল। ফলে প্রথমে স্বাধীকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ আবার ডিভাইড এন্ড রুলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা সমাজকে বিভক্ত করেছে।
[৫] বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, শাষক শ্রেণী এই দেশকে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পত্তি মনে করে। তারা আইনের উর্ধে এবং পছন্দ মতো আইন তৈরী করে। শাসক শ্রেণীর কাছে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হচ্ছে পিওর আওয়ামী লীগ ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনী।
[৬] সরকারের কাছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হচ্ছি আমরা সাধারণ জনগণ। বাংলাদেশে আমাদের কোনো অধিকার নেই। আমাদের সন্তানদের চাকরি পাওয়ার অধিকার নেই। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
[৭] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু সংবিধান কোটা পদ্ধতি সমর্থন করে না তাই, আশঙ্কায় আছি আইনের বাস্তবায়ন কিভাবে করা হয় তা দেখার জন্য। আমরা আশাবাদী হতে চায়। বৈষম্য বিরোধী এই আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমাদের জাতীয় শহীদ মিনার। আমাদের শহীদ মিনার হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতির প্রতীক। আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ হচ্ছে বৈষম্যহীন, ন্যয়বিচারভিত্তিক নিজেদের দেশ গড়ার প্রত্যয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে এবং উপযুক্ততার ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আপনার মতামত লিখুন :