রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিল সেটা আজ কোথায়? ৩০ লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটা আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এই লজ্জা আজকে এই জাতির। এই কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেননি।
[৩] শুক্রবার (৫ জুলাই) শ্রমিক দল ঢাকা মাহনগরের আয়োজনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভুঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নয়পাল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
[৪] রিজভী আরও বলেন, শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম তিন শো বিশ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না।
[৫] তিনি বলেন, এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক-দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
[৬] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভুঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার মূয়ুর সিংহাসন ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে জনগণ।
[৭] তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিন।
[৮] অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, সুমনদের গ্রেপ্তার করে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবেন না অচিরেই আপনার তক্তে তাউস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।
[৯] মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহবায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের সবুজ, শাহআলম, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ শ্রমিক দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আরএইচ/কে/একে
আপনার মতামত লিখুন :