শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেওয়া হচ্ছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

রিয়াদ হাসান: [২] গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এই দেশে নেই। এই দেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার, যারা নিজ দেশের সমস্ত স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ভারতের সঙ্গে যেসব সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাতিলের আহ্বান জানান তারা।

[৩] শুক্রবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত দেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

[৪] গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যদি বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন দিয়ে দেই তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারব। এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি, এই যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন, কীসের বিনিময়ে আছেন? বাংলাদেশের কী কী জিনিস কার কার হাতে তুলে দিয়েছেন?

[৫] তিনি বলেন, ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যেতে অনেক অসুবিধা হয়। তারা করিডোর চাইতেই পারে। কিন্তু আমাদের সরকার ট্রানজিট বলছে। এটাকে করিডোর বলুন।

[৬] গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গতকাল আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল কথা বলে দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চীন সফরের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। এখানে আর কিছু বলার দরকার আছে? এটা কী স্বাধীন সার্বভৌম দেশ? এই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে কোনও দেশে যেতে পারেন। তার জন্য কি অন্য দেশের অনুমতি লাগবে? কিন্তু শেখ হাসিনার লাগে।

[৭] এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস হবে না জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে আমরা কোনও অনুমোদন দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। মাঝে মাঝে অনেকেই বলেন, অনেক বছর ধরে তো লড়াই করছেন, পারলেন না তো। আমি বলছি, গতকাল পারিনি, আজ পারব। আজ পারিনি, কাল পারব, লড়াইটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত তাদেরকে পরাজিত করতে না পারি, এখানে কোনও থামাথামি নেই, আপস নেই। 

[৮] নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের, চরিত্রহীনদের এবং জবরদখলকারীদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ কোনও আপস করবে না। আমরা কোনও বিভ্রান্তকর আন্দোলন করব না। মূল সমস্যা যেগুলো, সেগুলোকে আড়াল করে অন্য একটা সমস্যা নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করব... সেই রকম কাজও করব না। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা কর্মসূচির ভিত্তিতে মত-পদ নির্ধারণ করে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আর লড়াই ছাড়া মুক্তি পাবেন না। তাই বাঁচার জন্য এই লড়াই আপনাদের সবাইকে করতে হবে।

[৯] ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়