শিরোনাম
◈ ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ টেকনাফ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত ◈ ১৫ জুলাই ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে  ◈ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ: ডা. জাহিদ ◈ এইচএসসির দ্বিতীয় দিনে আট বোর্ডে অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৪০ পরীক্ষার্থী ◈ কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের, বুধবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি ◈ টানা ভারী বর্ষণে সাজেকে আটকা ৭ শতাধিক পর্যটক ◈ দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট ◈ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দিতে হবে: হাইকোর্ট  ◈ আগস্টে বন্যার আশঙ্কা, মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৪, ০৯:০৫ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সাথে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই গোলামির নবতর সংস্করণ: মির্জা ফখরুল

শাহানুজ্জামান টিটু: [২] সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে করা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যাখন করেছে বিএনপি। রোববার বিকালে দলটির মহাসচিব গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতার নানা দিক তুলে ধরে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

[৩] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কানেকক্টিভিটির নামে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত, রেল যোগাযোগের নামে করিডোর প্রদানের মাধ্যমে যা করা হয়েছে তাতে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

[৪.১] তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের চুক্তির কথা স্মরণ আছে। ৫২ বছর পর সে ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন ভারতের সাথে সমঝোতার আড়ালে যেসকল চুক্তি করা হলো তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। 

[৪.২] এর ফলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। আমরা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী এই সকল চুক্তি জনগণ কখনো মেনে নেবে না। বিএনপি এই সকল দেশবিরোধী চুক্তি সমঝোতা প্রত্যাখান করছে।

[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে। যা খুবই বিপদজনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এটি শান্তির সহাবস্থান ও জোট নিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থি।

[৬] তিনি বলেন, নানা নাম দিয়ে যে দশটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো তাতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের চাইতে ভারতের কাছে শেখ হাসিনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দায়বদ্ধতা থেকে এসব স্মারক সই হয়েছে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট। 

[৭.১] তিস্তা চুক্তি না হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার প্রধানের সফরে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি এজেন্ডাতেই ছিল না। অথচ এটাই হওয়া উচিত ছিলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।

[৭.২] যাদের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে তিস্তার ন্যায্য পানি থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে, সেই তাদেরকেই তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত করলে তা যে স্বার্থ সাংঘর্ষিক ও আত্মঘাতি সেটা দেশের মানুষ বোঝে।”

[৮] তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতে প্রতিবছর রেকর্ড পরিমান সীমান্ত হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার পরেও প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার চূড়ান্তভাবে নির্লিপ্ত থেকেছে। ভারত-নেপাল, ভারত-চীন ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেও এই পরিমান হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে অহরহ সীমান্তে হত্যা হচ্ছে।

[৯] সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জহির উদ্দিন স্বপন উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসটি/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়